কলমের খোঁচা

ডুয়ার্স নিয়ে কিছু কথা–তৃতীয় পর্ব


শ্যামল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:২২শে মার্চ:–তৃতীয় পর্বের শুরুতেই বলতেই হচ্ছে যে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য লেখা লিখতে গিয়ে এত ভণিতা কেন? আসলে অপূর্ব ঘোষের লেখা ‘মোহময়ী ডুয়ার্স’ বই আর সব্যসাচী চক্রবর্তী, যিনি অভিনেতা হিসেবে আমাদের কাছে সকলের কাছে পরিচিত কিন্তু তিনি অসম্ভব রকমের জঙ্গলপ্রেমী তার রংরুটে লেখা পড়ে এই ভণিতা। আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলা যেতে পারে সব্যসাচী চক্রবর্তীর রংরুটে লেখা ‘ডুয়ার্সকে বাঁচাতেই হবে’ লেখার শেষ প্যারা।
“………যে পশু-পাখীরা কত সরল সহজ, কত নির্লোভ, কত নিষ্পাপ। এদের ভালোবাসলে এরা বাঁচবে। এরা বাঁচলে জঙ্গল বাঁচবে। জঙ্গল বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থে অন্তত এদের বাঁচান”।

সত্যি দায়িত্ব সকলের। যারা বেড়াতে যাই আর যারা বেড়াতে নিয়ে যাই তাদের। আর আমার মনে হয়েছে এই দায়িত্বটা ভ্রমণসংস্থাদের খুব বেশি। আর তাই এই লেখা। জঙ্গল বাঁচানোর দায় শুধু রোহিত পাশি-দের নয়। এইসব কারনেই সীমায়িত জ্ঞান নিয়েই ডুয়ার্সকে ভালোবাসার জন্য একটু বিস্তারিতভাবে লেখার চেষ্টা। নিশ্চিতভাবেই কিছু ত্রুটি থাকবে, থাকবে অনেক অসম্পূর্নতা। আর জানি যারা ডুয়ার্সকে চেনেন জানেনে তারা সেই ত্রুটি সংশোধন করে দেবেন, অসম্পূর্ণতাকে সম্পূর্ণতায় রূপান্তরিত করে দেবেন।

তাই পর্যায়ক্রমে সেখানকার জনজাতি, নদনদী, গাছপালা, পশু-পাখী ইত্যাদি নিয়ে এই লেখা চলেব। কারন এদের না জানলে তো ভালোবাসাটাই আসবে না। ভালোবাসাটা তো কারো কথায় হয় না। আজ এইটুকুই থাক। চতুর্থ পর্বে আমরা জানবো ওখানকার স্থানীয় জনজাতি টোটো, ডুকপা, মেচ, রাভা, তামাং, এদের কথা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।