সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৯শে ডিসেম্বর:- বিভিন্ন কারণে মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিপন্ন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে বলা যায় এই রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল একেবারেই বেহাল। এখানে নেই কোন ভালো হসপিটাল আর বেসরকারি হসপিটাল গুলো নিজেদের ইচ্ছামত বিল রোগীর আত্মীয়দের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে।কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ বুঝতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কি করুন পরিনতি।শুক্রবার সুপ্রিমকোর্ট এক যুগান্তকারী রায় ঘোষণা করেছেন। প্রতিটি রাজ্যের —- প্রতিটি মানুষের সুলভ ও সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়ার অধিকার আছে। এই পরিষেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলা করাকে বিশ্বযুদ্ধের সামিল বলে মনে করেন বলে জানিয়েছেন। এনডি টিভি প্রচারিত একটি তথ্য থেকে এই বিষয়ে জানতে পাওয়া গেছে। বিচারপতি অশোক ভূষন, সুভাষ রেড্ডি এবং বিচারপতি শা’ বর্তমান সময়ে মানুষ এর স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে এই চুড়ান্ত সংকট এর সময় এই আলোচনা করেন। তাঁরা জানান , করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে মানুষের মৃত্যু হয়েছে প্রচুর। কিন্তু সেই সংকটকালে মৃতদের প্রতি সামান্যতম সমবেদনা বা সম্মান কোনটাই দেখানো হয়নি। মৃতদেহ আত্মীয় স্বজন দের না দেখিয়ে সৎকার করা হয়েছে। আর সেই সৎকার ও ঠিকমতো করা হয়নি ।এমন ঘটনা ও ঘটেছে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে কিন্তু উক্ত ব্যক্তি কিছুদিন পর বাড়ী ফিরে এসেছেন। মানুষের মৃত্যুর খবর ও ঠিকমত দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।।
আদালত জানিয়েছেন স্বাস্থ্যের অধিকারের অর্থ হলো সামর্থ্য ও সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা পাওয়া।আর রাজ্যের দায়িত্ব এটা দেখা প্রতিটি নাগরিক যেন সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা পায়। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ রাজ্যসরকার ও স্থানীয় কতৃপক্ষ বেসরকারি হাসপাতালে পাওনা সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে দিক এবং এটা করতে গেলে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনে করতে হবে। বিচারপতিগন বলেছেন এই কোভিড -১৯ চলাকালীন অবস্থায় সবাই কোন না কোন অসুবিধা ভোগ করছেন। এই পরিস্থিতি বিশ্বযুদ্ধের সামিল। তাই সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা সবাই একসাথে হাতেহাতে মিলিয়ে এই কোভিড-১৯ মোকাবেলা করতে হবে।যতদিন যাচ্ছে করোনা চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ এই মারাত্মক খরচ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে।।
বিচারপতিরা আরও বলেছেন হাসপাতাল বা নার্সিং হোম গুলোকে আরও বেশি করে নিরাপত্তার বাঁধনে বাঁধা দরকার। যথাযথ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে,ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টির উপর সবথেকে বেশি জোর দিতে হবে এবং ভোটের মুখে যে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ গুলো হবে তাতে যেন করোনা বিধি ঠিকমতো পালন করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাজ্যসরকার গুলো কেই দিতে হবে।