দেশ রাজ্য

“তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি” – অমিত শাহের শান্তিনিকেতনে আসা ঘিরে এমনই ঘটলো।


কল্পনা গুপ্ত,চিন্তন নিউজ ১৯ শে ডিসেম্বর -শান্তিনিকেতনের প্রবীন আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের কথায় – শান্তিনিকেতন এখন আর অরাজনৈতিক জায়গা নেই। রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।  বর্তমান উপাচার্য এতে আরো প্রশ্রয় দিচ্ছেন। রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথকে টানার দরকার নেই। যেভাবে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে শান্তিনিকেতন ও বোলপুর জুড়ে তা খুবই অপমানজনক।

একটি পোস্টার সারা বোলপুর ও শান্তিনিকেতনকে তথা সারা বাংলাকেই উত্তেজিত করে তুলেছে । রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আসার কথা শান্তিনিকেতনে।  সারা শহর জুড়ে রাজ্যের শাসকদল ও বিজেপি পোস্টার, ফ্লেক্সে ভরিয়ে তুলেছে। বোলপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অনুপম হাজরার উদ্যোগে এলাকায় অমিত শাহকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়। বোলপুর- শান্তিনিকেতন সংস্কৃতি ও বিকাশ সমিতির নামে করা এই পোস্টার ঘিরেই তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পোস্টারের এক্ববারে ওপরে অমিত শাহের মুখচ্ছবি,  তার নীচে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্কেচ, একেবারে নীচে অনুপম হাজরার ছবি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এক হাস্যকর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে যে, এইটি তৃনমুল দলের থেকেই করা হয়েছে তাদের বিরোধিতা করার জন্য এবং অভিযোগের তীর তৃনমুল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দিকে। এই অভিযোগ তৃনমুলের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।

রবিবার কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে সরাসরি শান্তিনিকেতনে কুমীরডাঙ্গার মাঠে নেমে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্বভারতী ঘুরে দেখবেন। সেখান থেকে  শ্যামবাটি এলাকার এক বাউল শিল্পীর বাড়ি মধ্যাহ্ন ভোজন সেরে বোলপুর চৌরাস্তায় এক সভায় বক্তব্য রাখবেন। তারপর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে ও দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠক করে চলে যাবেন অন্ডালে। সেখান থেকে দিল্লীর অভিমুখে। রেখে যাবেন বাঙালী সংস্কৃতির এক অবমাননার ইতিহাস।

রবীন্দ্রনাথ শুধুমাত্র বাঙালীর নয় সারা দেশের, সারা বিশ্বের এক কালোত্তীর্ণ মনীষা,  যাঁকে শ্রদ্ধা করার ছলে তাঁর দলীয় কর্মীরা মারাত্মক অবমাননা করে ফেললো। এই প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদের জ্ঞানের অগভীরতা, অস্বচ্ছতা আবার কলঙ্কিত করলো এই রাজ্যের সংস্কৃতিকে।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।