রত্না দাস:চিন্তন নিউজ:১৫ই সেপ্টেম্বর:বাড়িতেই পড়ছে কাশ্মীরি পড়ুয়ারা।শ্রীনগরের হজরতবালে নিজের বাড়িতেই প্রায় ২০০ জন ছাত্রছাত্রীকে পড়ানো শুরু করেছে মুনাজা ইমরান বাট। আগস্টের মাঝামাঝি স্কুল খুললেও দফায় দফায় কার্ফুর জন্য উপত্যকার বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী স্কুলে উপস্থিত হতে পারছে না। ফলে মুনাজার মতো প্রাইভেট শিক্ষকদের কাছে উপস্থিত হচ্ছে অভিবাবকরা। বাচ্চাদের তাদের এলাকায় গিয়ে পড়াতে অনুরোধ করছেন।
আসলে পরীক্ষার সময় গেলেও মাঝে স্কুলে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছেন না অভিবাবকরা।
অভিভাবকরা জানাচ্ছেন সেপ্টেম্বর অক্টোবরে বেশিরভাগ স্কুলের পরীক্ষা শুরু হয়। তাই দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও যাতে তাদের পরীক্ষায় বসতে অসুবিধা না হয় সেই দিকে নজর রাখছেন তারা।এই বছরে তাদের এখনও ফর্ম দেওয়া শুরু হয় নি। পরীক্ষা ছাড়াই সরকার সব ছাত্রছাত্রীদের পরের ক্লাসে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেবে বলে শোনা যাচ্ছে।
আগেও ২০০৬, ২০১০, ২০১৬ সালে একইভাবে পরীক্ষা না দিয়ে পরের ক্লাসে তুলে দেওয়া হয় সব পড়ুয়াকে। স্কুলে না গেলেও যাতে তাদের লেখাপড়ার যাতে ক্ষতি না হয় সেইদিকে নজর রাখছে অভিভাবকরা। নোওগ্রামের এক শিক্ষক জানাচ্ছেন তিনি গত মাস থেকেই বাচ্চাদের বাড়িতে পড়াচ্ছেন। তার মতে এইভাবে অনেকটাই ক্ষতি সামলানো সম্ভব হবে।
সেখানকার এক গৃহবধূর বক্তব্য ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের জেরে হঠাৎ ৫ই অগাস্ট থেকে স্কুল বন্ধ হয়ে গেল। কেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেল তা বোঝানো যাচ্ছে না ছোটদের। তিনি বলছেন তিনি তার বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করতেই সেখানকার প্রতিবেশীরা তাদের ছেলেমেয়েদের তার কাছে পড়াতে পাঠাতে শুরু করেছেন। যদিও এইভাবে স্কুলের অভাব মেটানো সম্ভব নয়। তবে দিনের কিছুটা সময় তাদের ব্যস্ত রাখা সম্ভব।
স্কুল দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, “কোনো ছাত্র বা অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। কিভাবে পরিক্ষার ফর্ম দেব? দেখি কি করা যায়। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত নেবে।”
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/09/IMG_20190915_092019-1-1024x505.jpg)
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/09/IMG_20190915_091955-1-1024x509.jpg)