বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদেশ

কঠিনতম ” টাচডাউন” প্রক্রিয়া শেষ করে লালগ্রহের মাটিতে পা রাখলো “পারসিভিয়ারেন্স” রোভার,


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২০শে ফেব্রুয়ারি:– মার্কিন গবেষনা কেন্দ্র নাসা আবার ইতিহাস তৈরি করতে সফল হলো। কঠিনতম ” টাচডাউন” প্রক্রিয়া শেষ করে লালগ্রহের মাটিতে পা রেখেছে “পারসিভিয়ারেন্স” রোভার। খবরে প্রকাশ এতবড়ো যান আগে কোনো দিন নাসা মঙ্গলগ্রহে পাঠায় নি।

লালগ্রহ মঙ্গলে কি কোনদিন প্রানের হদিশ ছিল? যদি থাকতো তবে তা কতো কোটি বছর আগে? এই সব নানারকম অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ২০২০ সালে এই বিশালাকৃতির যানকে মঙ্গলে পাঠানো হয়েছে।। গত ১৮ ই ফেব্রুয়ারি রোভারটি মঙ্গলে নামার প্রস্তুতি শুরু করে এবং রাত্রি ২:৪৫ মিনিট নাগাদ এটি মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে।।

এটির প্রধান কাজ ,এটি সন্ধান করবে কোনদিন মঙ্গলে প্রান ছিল কিনা? নানারকম খোঁড়াখুঁড়ি করে বিভিন্ন ধরনের পাথর , মাটি সংগ্রহ করবে এবং তা বিভিন্ন আকারের টিউবে ভরে নিয়ে সম্ভবত ২০৩০ সাল নাগাদ ফিরবে। প্রায় নয় বছর এটি মঙ্গল গ্রহে অবস্থান করবে। নাসার বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা আশা করছেন রোভারটি নাসাতে ফিরে আসলে গবেষণা’র এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।।

রোভার টি মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার আগের সাত মিনিট অতি প্রতিকুল ছিল। শেষপর্যন্ত সব প্রতিকূলতা জয় করে রোভার মঙ্গলের মাটিতে নেমেছে। সবচাইতে ভালো খবর যেটা সেটা হল মহাকাশ চর্চার এই অধ্যায়ে চার ভারতীয়’র নাম রয়েছে। তার থেকেও বড় কথা ইতিহাস এর পাতায় দুই বাঙ্গালী র নাম উঠে গেল যাঁরা এই মহাকাশ যানের যাত্রী এবং এই গবেষণার গবেষক।।

লালগ্রহে পা রাখার সাথে সাথেই স্বাতী মোহন, ডে বব বলরাম,অনুভব দত্ত ও সৌমৃ দত্ত রা এক অসাধারণ অধ্যায় এর সৃষ্টি করলেন।। বর্ধমান এর সৌম্য ও মহিষাদলের অনুভব রা বাঙালি র সামনে এক গর্বের অধ্যায় তুলে ধরলেন। এই দুই বাঙ্গালী মঙ্গল গ্রহের মাটিতে পা রাখতে দিনরাত গবেষণায় বুঁদ হয়ে ছিলেন। আজ এই দুই বাঙ্গালী নিজ নিজ ক্ষেত্রে চুড়ান্ত ভাবে সফল।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।