চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ:১৩ই এপ্রিল:- এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে তৈরী হচ্ছে ভারতের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলো। এ এক অভিনব যুদ্ধ যাতে প্রয়োজন হয়না কোনো গোলাবারুদ। সারা বিশ্বই এখন লড়াই করছে এই অচেনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে, যার নাম কোভিড ১৯।
এই সংকটের মূহুর্তে ভারতের ‘অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড’ তাদের অস্ত্র গোলাবারুদ ছেড়ে তৈরী করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্লাভস, মাস্ক,পিপিই সহ এক অন্যধরনের তাঁবু যাকে ব্যবহার করা যাবে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে।
২১ দিনের লকডাউন যথেষ্ট নয় বলে বাড়াতে হয়েছে সময়। তবুও কতদিনে এই লড়াই জিতে ওঠা যাবে তা অনিশ্চিত। ভারতে হু হু করে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আশঙ্কা করা হচ্ছে জুনের শুরু থেকে হাসপাতালে এত বেশী রোগীর চাপ বাড়বে যা স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতাল গুলো সামাল দিতে পারবেনা। এই অবস্থায় ভারতের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড স্বাস্থ্য পরিষেবাকর্মীদের হাতে তুলে দিতে চলেছে যুদ্ধের এক অভিনব অস্ত্র।
ভারতের মোট ৪১টি গানশেল ফ্যাক্টরিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা হচ্ছে’ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড’ বা ওএফবি। দেশের সংকটকালে দেশকে ও দেশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখতে দুই শয্যা বিশিষ্ট ,জলনিরোধক কাপড় ,ইস্পাত ও এ্যলুমিনিয়মের তৈরী কাঠামোযুক্ত, দুজন মানুষের উপযোগী , ১০বর্গফুটের এক অভিনব তাঁবু তৈরী করছে ,যা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। যা ভারতের মত জনবহুল দেশের পক্ষে খুবই কর্যকরী।
কানপুরের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি এই তাঁবু তৈরী হচ্ছে যা ভাইরাসকে বাইরে বেড়োতে দেবেনা।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অর্ডিন্যান্স কারখানায় তৈরী হচ্ছে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস , পিপিই সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিভিন্ন সরঞ্জাম। বর্তমানে দেশের অর্ডনান্স ফ্যাক্টরি গুলের ৮০০০০ কর্মী এই স্বাস্থ্য সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যাস্ত। ওএফবি র জনসংযোগ অফিসার উদ্দীপন মুখোপাধ্যায় জানান, প্রাথমিক ভাবে যে সব ফ্যাক্টরি গুলিতে উৎপাদন শুরু হয়েছে তার মধ্যে কলকাতা নেই।দেশের ৬টি রাজ্যের ১০টি হাসপাতালে ২৮০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়ে তোলার পরিকল্পনা তাদের রয়েছে।