দেশ

ভুল হচ্ছে ভীষন ভুল হচ্ছে।


সুগত দত্ত: চিন্তন নিউজ: ৩রা এপ্রিল:-যখন সারা পৃথিবীতে করোনার মতন মহামারী তখন এই দেশে বিজ্ঞানকে উপেক্ষা করে ধর্মীয় ভাবাবেগ থেকে দেশের মানুষ নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিচ্ছেন । অংশগ্রহণ করছেন, আর কেউ কেউ তো তথ্য গোপন করতে শুরু করেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এটা মহামারী। এটার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। আর ভারতের শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে শৃঙ্খল ভাঙতে। সবাইকে ঘরে থাকতে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঠিক মূল্যে সরবরাহ করতে হবে যাতে মানুষ সহজে পায়। এই দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে। তাই তাদের বিনা মূল্যে সরবরাহ করতে হবে।

আর যারা বিদেশ থেকে কিংবা বাইরের রাজ্য থেকে এসেছে তাদের কম পক্ষে ১৪ দিন নিজেদের ঘরে বন্দী থাকতে হবে। যদি শুকনো কাশি জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তবে স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করুন। আর এটাও বলেছে। টিটিটিআই (TTTI)I মানে ট্র্যাক (Trace) চিহ্নিত করো, টেস্ট (Test) পরীক্ষা করো, (Teatment) চিকিৎসা করো আর (Isolation) গৃহবন্দী করো। এই দেশে কিংবা রাজ্যে মানছে কোনোটাই? দেশে চলছে প্রথমে তার ধর্ম খুঁজছে। রাজ্যের মৃতের সংখ্যা কি করে কমলো সেটাই চিন্তার।
আর এর প্রভাব মানুষের মধ্যে পড়ছে। ভিন রাজ্যের প্রতিবেশীকে বাধ্য করা হচ্ছে চিকিৎসকের প্রসংশা পত্র দেখতে। এতে চিকিৎসকরা আরো নাজেহাল হচ্ছেন। সামান্য
খাবার অভাবে মানুষ খাদ্যের সন্ধানে রাস্তায় নেমে যাচ্ছে। বাজারে প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছে। ভিন রাজ্যে আটকে পরা মানুষ গৃহহীন, খাদ্যহীন হয়ে বাড়ির উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়ছেন। বাজারে বাজারে শুরু হচ্ছে কালোবাজারি। ডাক্তার স্বাস্থ্য কর্মীদের পযাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম না থাকাই কর্ম স্থগিতত করে দিতে চাইছেন।

আর এর ফলে বাড়বে এই মহামারী। দেশ ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্য সামান্য খাবারের জন্য মানুষ নিজেদের মধ্যে হানাহানি করছে। এই ভুল করবেন না , নিজেকে বাঁচতে হবে। বাঁচলেই থাকবে ধর্ম। ভারতবর্ষ ঘন বসতি পূর্ণ। তাই ভাঙতেই হবে এই শৃঙ্খল। তাই সোশাল ডিসটেন্স না শারীরিক দূরত্ব বজায় করুন আর সামাজিক ভাবে এক হোন। কাউকে অভুক্ত দেখলে এগিয়ে এসে তাকে সাহায্য করতে হবে। বাঁচুন এবং বাঁচতে সাহায্য করুন।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।