শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

পশ্চিমবঙ্গের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি।


শ্যামল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:৩রা এপ্রিল:–পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণের কারণে এ পর্যন্ত তিন না সাত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে, সেই নিয়ে গত পরশু (১ এপ্রিল,২০) থেকে সরকারি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য অবিলম্বে এই ধরণের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্তের প্রয়োজন। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশিকা আছে। (Government of India Ministry of Health & Family Welfare Directorate General of Health Services (EMR Division) COVID-19: GUIDELINES ON DEAD BODY MANAGEMENT) ।
এছাড়াও করোনার ভাইরাসের আক্রমণ সম্পর্কিত আরও বৈজ্ঞানিক তথ্যের সন্ধানে সংশ্লিষ্ট নিবেদিত কর্মীদের দ্বারা মৃতদেহের উপর ময়না তদন্তের জন্য প্রয়োজন।
বিজ্ঞানীদের এবং চিকিিৎসকদের সাথে ডাক্তাররা এ জাতীয় রোগীদের চিকিিৎসার জন্য আগমন করতে পারে। ঘটনাচক্রে, এই কথাটি এখানে উল্লেখ করার বাইরে থাকবে না যে ২০০১ সালে মাননীয় উচ্চ আদালত মেডিকেল শিক্ষার অগ্রগতির জন্য মৃত দেহকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদান করার জন্য রোগনির্ণায়ক ময়নাতদন্তের পক্ষে রায়ও দিয়েছিলেন। এই ব্যাপারে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো সত্ত্বেও, এখনও আমাদের জানা না থাকার কারণে এটি শুরু হয়নি।
তবে রোগের গবেষণা ও পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য প্যাথলজিকাল অটোপসিটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, কওভিড -১৯ এর এই একেবারে নতুন প্যাথোজেনের সমস্ত উপলব্ধ তথ্য সংগ্রহ করার জন্য শরীরের নিষ্পত্তি করার আগে, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কোনও কোণ থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির কাছে আত্মসমর্পণ করে এই সুযোগটি হারাতে হবে না। রাজ্য যেহেতু তাদের চিকিত্সার জন্য বিশাল সংস্থান ব্যয় করছে, তাই রাষ্ট্রের অবশ্যই। কোভিড-১৯ এর সমস্ত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আরও ভাল যুক্তিবাদী ও বৈজ্ঞানিক চিকিত্সা বিকাশের লক্ষ্যে রোগনির্ণায়ক ময়নাতদন্তের (AUTOPSY) মাধ্যমে গবেষণার জন্য দেহটি ব্যবহারের অধিকার থাকতে হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।