মিঠুন ভট্টাচার্য, চিন্তন নিউজ, ২মে : বেহাল রেশন ব্যবস্থা ও সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তরবঙ্গের সি.এম.ও-কে স্মারকলিপি জমা দিল ডি.ওয়াই.এফ.আই. এন.জে.পি. ফুলবাড়ী লোকাল কমিটি। গত ৩০ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যাতে লকডাউন অবস্থায় সরকারি নিয়ম মেনে ডি.ওয়াই.এফ.আই এর এক প্রতিনিধিদল উত্তরকন্যার সচিবকে স্মারকলিপি জমা দেন এবং সচিবের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকেও স্মারকলিপি পাঠান।
গোটা বিশ্বের সাথে ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ আজ এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। সবার মতোই এই রাজ্যের সমস্ত সাধারণ মানুষও চেষ্টা করে চলেছে কোভিড ১৯ এর মত ভয়ঙ্কর অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হ’তে। কিন্তু ভুখা পেতে কোনো লড়াই যেতা যায় না। এক মাসের বেশি সময় ব্যাপী কর্মহীনতা সাধারণ গরিব মানুষকে রিক্ত করে তুলেছে। এই সময় সবার আগে দরকার বেঁচে থাকার মত ন্যূনতম খাদ্য।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ঘোষণা মত AAY, SPHH, PHH এবং RKSY – I ও II কার্ডধারী গ্রাহকেরা ১লা মে থেকে তিন মাসের জন্য বিশেষ রেশন পাবেন। এই রেশন ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই সমস্যাগুলোর কথাই ওই সংগঠনের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
যেসব গরিব মানুষের কোনো ধরণের রেশন কার্ড নেই তারা রীতিমত অভুক্ত রয়েছে। এই ধরনের মানুষদের লিস্ট করে তাদের অন্তত ছয় মাসের জন্য বিশেষ ত্রাণ হিসেবে চাল ও আটা দেবার দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। AAY, SPHH, PHH প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বহু মানুষ এখনো ডিজিটাল রেশন কার্ড পায়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলোকে অতিরিক্ত ৫কেজি মাথাপিছু চাল ও ১ কেজি পরিবার পিছু ডাল দেবার যে ঘোষণা করা হয়েছে তা থেকে এই মানুষগুলো যেন বঞ্চিত না হয়, সেই বিষয়েও সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে।
এর বাইরেও ওই স্মারকলিপিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কিছু আবেদনও করা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় রেশনে আতপ চাল দেয়া হচ্ছে। তার বদলে সেদ্ধ চাল দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও সব রেশন কার্ডে চালের সাথে ডাল, আলু, চিনি, তেল দেওয়ারও আবেদন জানানো হয়েছে। উপস্থিত আধিকারিক যথেষ্ট সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।