কলমের খোঁচা

মহান নভেম্বর বিপ্লব–এক গতিশীল শিক্ষা।


প্রতিবেদনে সলিল ঘোষাল: চিন্তন নিউজ: ০৭/১১/২০২৩:- কবি কমরেড মায়কোভস্কির কথায়–“অন্য গন্ধ ছড়িয়ে আমরাই বজ্রমেঘেই পৃথিবীর সব ধুলো ধুয়ে দেবো”—মহান নভেম্বর বিপ্লব সম্বন্ধে কিছু লিখতে বসেই কমরেড  মায়কোভস্কি’র কথা মনে পড়ে গেল। নভেম্বর বিপ্লব কোনো কাল্পনিক-মামুলি ঘটনা নয়। এ বিপ্লব প্রমান করে দিয়েছে যে শ্রমিক শ্রেনীর নেতৃত্বে কেমন করে একটা আধা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে সমাজতন্ত্রের পথ কে প্রশস্ত করা যায়। আজকের এই মহান দিনে কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টির লাগাতার রাষ্ট্রযন্ত্র বিরোধী আন্দোলনের ফসলই হ’ল পৃথিবীর বুকে প্রথম শ্রমিক শ্রেনীর রাষ্ট্রের জন্ম লাভ। পক্ষান্তরে কমরেড কার্ল মার্কস ও কমরেড এঙ্গেলস এর বৈজ্ঞানিক সমাজ দর্শন যে কতটা প্রাসঙ্গিক সেটা মহান নভেম্বর বিপ্লবের মধ্যে দিয়েই প্রতিফলিত হ’ল।
নভেম্বর বিপ্লব পরবর্তী ১০০ বছরে পৃথিবীর বুকে একের পর এক দেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে চলেছে। এটাই দুঃখের যে আমাদের চোখের সামনে কমরেড লেনিনের স্বপ্নের রুশ সমাজতন্ত্রের পতন ঘটলো !! সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের সর্বস্ব ক্ষমতা কে ব্যবহার করে সারা বিশ্ব ব্যাপি “বিপ্লব শেষ”–এই নোংরা প্রচার ধারাবাহিক ভাবে করে গেলেও–মার্কসীয় দর্শন যে এক চলমান বিজ্ঞান, এবং এই বিজ্ঞানের পথ ধরেই আগামী দিনে পৃথিবীর বুকে আরো কতো যে নতুন নতুন বিপ্লব সংঘটিত হবে এবং সেই সব বিপ্লব দীর্ঘজীবী হবে–এ কথা বোঝার যোগ্যতা ওদের নেই।
কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে কমরেড এঙ্গেলস লিখেছেন–” সর্বহারা শ্রেণী নিজেদের কে বুর্জোয়া শোষণের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে তাদের গোটা সমাজব্যবস্থার ই পরিবর্তন করা দরকার”। অন্যদিকে কমরেড লেনিন অত্যন্ত সঠিকভাবেই আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন যে “পূজিবাদই হ’ল সাম্রাজ্যবাদের সর্বশেষ ধাপ”। লেনিনীয় তত্ত্বের সত্যতা যে কতটা তা আমরা বর্তমান পৃথিবীর বুকে নয়া সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের চেহারা দেখেই বুঝতে পারছি!!
ব্যর্থতার মধ্যে দিয়েই যে প্যারি কমিউনের সাফল্য এসেছে–এ কথা বলাই বাহুল্য, সুতারাং বহুবিভাজন‌ সত্ত্বেও ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলন একদিন না একদিন নভেম্বর বিপ্লবের আলোকে আলোকিত হয়ে শ্রমিক শ্রেনীর নেতৃত্বে এবং কৃষকের মৈত্রীতে জনগনতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত করবে–এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।