সমর আঢ্য:চিন্তন নিউজ:২১শে জুন:- বাংলাদেশের সোনারগাঁও উপজেলার বারদিতে জননেতা জ্যোতি বসু’র পৈতৃক ভিটায় তাঁর স্মরণে গ্রন্থাগার এবং সেমিনার হল তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তৈরি হয়েছে আরো অনেক কিছু। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বজনশ্রদ্ধেয় জননেতা জ্যোতি বসুর স্মৃতিরক্ষায় বাংলাদেশ সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।
আর পশ্চিমবঙ্গে ‘জ্যোতি বসু’-র নামটাই মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় রাজারহাট নিউটাউনের নাম ‘জ্যোতি বসু নগর’ দেওয়া হ’লেও তা তৃণমূল সরকার সুকৌশলে বাদ দিয়ে দিয়েছে। এমনকি জ্যোতি বসু’র নামে গবেষণাকেন্দ্র ও সংগ্রহশালা তৈরির জন্য জমি বাবদ ২০১০সালে সাড়ে ৪কোটি টাকা জমা দেওয়ার পরেও তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে নানা টালবাহানা করে তা এখনও হস্তান্তর করেনি।
এমনকি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তাঁর জন্মদিনে ৮ই জুলাই ‘জ্যোতি বসু স্মারক বক্তৃতা’ চালু হ”লেও তৃণমূল আসার পর তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ উদ্বোধন করার পর যে ফলক লাগানো হয়েছিল, যুব বিশ্বকাপের জন্য সংস্কার করার নামে তা সরিয়ে আস্তাকুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ……
জ্যোতি বসু’র নেতৃত্বে পশ্চিমবাংলার মানুষ যে গৌরবময় ইতিহাস তৈরি করেছেন, তাকে শত চেষ্টা করলেও মুছে ফেলা যাবে না। বরং যারা সে চেষ্টা করছে, তারাই একদিন ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। অনিবার্য ভবিতব্য এটাই!