অর্থনৈতিক দেশ

কোষাগারের ঘাটতি মেটাতে আবার ব‍্যাঙ্ক বেসরকরীকরণের পথে সরকার ।


চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:১৮ই ফেব্রুয়ারি:– কোষাগার ঘাটতি রুখতে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে আগামী দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব‍্যাঙ্ক বেসরকারীকরনের পথে যাবে  সরকার। এই তালিকায় আইডিবিআই ব‍্যাঙ্কের উল্লেখ থাকলেও খুব শীঘ্রই আরও চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব‍্যাঙ্ক এই তালিকায় আসতে চলেছে। বিলগ্নিকরণের মাধ‍্যমে আরও ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ‍্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইতিমধ‍্যেই ১০টি সরকারী ব‍্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের মাধ‍্যমে ৪টি ব‍্যাঙ্ক গঠন করা হয়েছে। বিশেষত যেসব ব‍্যাঙ্কগুলি ধারাবাহিক ঘাটতির মধ‍্যে দিয়ে যাচ্ছে সেগুলি তালিকার প্রথম সারিতে রয়েছে। এর মধ‍্যে ব‍্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, সেন্ট্রাল ব‍্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব‍্যাঙ্ক ও ব‍্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নাম প্রথমে উঠে এলেও এই তালিকায় রয়েছে ইউকো ব‍্যাঙ্ক, পাঞ্জাব এন্ড সিন্ধ ব‍্যাঙ্কও। যদিও ভারতের সর্ববৃহৎ ব‍্যাঙ্ক হবার কারণে স্টেট ব‍্যাঙ্ক, যেটি ‘স্ট্রাটেজিক ব‍্যাঙ্ক’ হিসেবে গ্রামীণ আমানত প্রসারণের কাজ করে, সেটি বেসরকারীকরণের অসুবিধা রয়েছে।

এইভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব‍্যাঙ্কগুলি পরপর বেসরকারীকরণের পথে গেলে ঝুঁকির মুখে পড়বে ব‍্যাঙ্কিং সেক্টর। ছাঁটাইয়ের কোপে পড়বে বহু কর্মী। এছাড়াও ব‍্যাঙ্কের উপভোক্তাদের সঞ্চিত সম্পদও ক্ষতির সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা। এতে তৈরি হবে বিভিন্ন সমস্যা।

ব‍্যাঙ্ক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রবল বাধার মুখে পড়ার সম্ভাবনার কারণে দ্রুত এগোতে চাইলেও সরকার  ধীরে চলো নীতি নিতে বাধ‍্য হচ্ছে। শুধুমাত্র সংসদে সংখ‍্যাগরিষ্ঠতায় ভর করে সরকারী সম্পদ বিক্রির এই তাড়াহুড়োর পিছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্বন্ধে জনমনে তৈরী হয়েছে সন্দেহ। তবে এবিষয়ে অর্থমন্ত্রকের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।