চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৩০শে জানুয়ারি:–শারজিল ইমাম, কাফিল খানের পর সিএএ বিরোধী বক্তব্যের জেরে বিহারে গ্রেফতার কানহাইয়া কুমার।
সিএএ,এনআরসি নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনের জেরে কেন্দ্রীয় সরকার দিশেহারা। এই আন্দোলনের পথরোধ করার জন্যে একাধিক পন্থা নিচ্ছে সরকার।বর্তমানে এই আন্দোলনের নেতৃত্বকে টার্গেট করেছে সরকার। একদিকে শাহীনবাগ আন্দোলনের নেতা, কৃতীছাত্র এবং জেএনইউ এর প্রাক্তন সভাপতি শারজিল ইমাম অন্যদিকে সিএএ মিছিলে মন্তব্যের জেরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জীবনদায়ী ডাক্তার কাফিল খানকে, যিনি হাসপাতালের শিশুদের জরুরীকালীন ভিত্তিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে জীবন দান করেছিলেন।
কাফিল খানের গ্রেফতারির ২৪ঘন্টা পেরোনোর আগেই আটক করা হোলো সিপিআই ছাত্রনেতা জেএনইউ এর প্রাক্তন ছাত্রসংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমার কে। বিহারের বেথিয়া জেলার একটি জনসভা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
বৃহস্পতিবার ‘সংবিধান বাঁচাও নাগরিকতা বাঁচাও’ নামক একটি সিএএ বিরোধী পথসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কানহাইয়া কুমার। ঠিক ছিল পদযাত্রা শুরু হয়ে পশ্চিম চম্পারনের গান্ধী আবাসন থেকে শুরু হয়ে পাটনার গান্ধী ময়দানে পৌঁছে সভা শুরু হবে।এদিন সিএএ এবং এনআরসি র বিরোধিতা করে সেই সভায় বিরাট জনসমাগম হয়। সেখানে কানহাইয়াই ছিলেন প্রধান বক্তা। নিজের বক্তব্যে কানহাইয়া বলেন যে, আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।দেশকে ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। গুজরাটের বিভাজনের মতো দেশকে রোল মডেল করেছে সরকার। ধর্মের ভিত্তি তে সারা দেশেকে বিভাজনের এই রাজনীতি রুখে দিতে হবে।
এই সময় পশ্চিম চম্পারনের এসডিএম তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।কানহাইয়া র বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সার্বজনীন পথসভা করার অনুমতি তাঁর নেই। তাই বেথিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হচ্ছে। বলা হয় সিএএ নিয়ে উস্কানি মূলক ভাষণ মেনে নেওয়া হবেনা। প্রকৃতপক্ষে সরকার যে ভয় পেয়েছে, ভয় পাচ্ছে এটা তারাই ইঙ্গিত।নিপীড়ন যতো বাড়ছে ,প্রতিবাদের সুরও ততো শানিত হচ্ছে।