চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:৩১শে জানুয়ারি:–আইআইটি বম্বে কত্তৃপক্ষের নির্দেশে ছাত্রছাত্রীরা কোনো ‘দেশ বিরোধী’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেনা।
সংশোধিত নাগরিক পঞ্জী(এনআরসি)এবং সংশোধিত নাগরিক আইন (সিএএ)-র বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে প্রথম সারিতে রয়েছে দেশের সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির ছাত্রছাত্রীরা। দেশের এই প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির ছাত্র নেতারাই এই আন্দোলনের মুখ। আইআইটি বা আইআইএম এর মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ আগে সচরাচর দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল আইআইটি বম্বে কত্তৃপক্ষের নির্দেশ ‘দেশ বিরোধী’ কোনো কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে পারবেনা, এই প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলের কোনো বাসিন্দা।
তবে ঠিক কোন কাজগুলোকে তারা দেশবিরোধী আখ্যা দিচ্ছেন, তার কোনো সদুত্তর কত্তৃপক্ষ দিতে পারেননি।আমাদের সংবিধান অনুযায়ী মতপ্রকাশের স্বাধীনতা স্বীকৃত অধিকার।২৯শে জানুয়ারি, হোস্টেলের পড়ুয়াদের জন্যে যে নির্দেশিকাটি আইআইটি বম্বের ডিন অব স্টুডেন্ট জারি করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে হোস্টেলের পড়ুয়ারা যেন দেশবিরোধী, আসামাজিক এবং অবাঞ্ছিত কোনো কর্মকান্ডে যুক্ত না হন। সম্প্রতি সিএএর বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ফলস্বরূপ এই নির্দেশিকা বলেই মনে করা হচ্ছে। ঐ নির্দেশনামায় আরও বলা হয়েছে যে কত্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রচার পত্র, পুস্তিকা বিলি করা ও কোনো পোস্টার লাগাতে পারবেনা।
নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে রাজনৈতিক কোনো গান, কবিতা ও নাটকের উপরেও।এছাড়াও সর্বদা পরিচয়পত্র রাখা সহ হোস্টেলের আবাসিকদের উপর জারি হয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা, যা নজিরবিহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।। কত্তৃপক্ষ এগুলোকে সাধারণ নিয়মবিধি বললেও, প্রসঙ্গত গত ডিসেম্বরে এই ধরণের নির্দেশিকা জারি হয়েছিল কানপুর আইআইটিতেও। ফ্যাসিবাদি নিষেধাজ্ঞার নাগপাশে ছাত্রসমাজকে বেঁধে ফেলার এ এক ঘৃণ্য ও নিষ্ফল কৌশল।