দেশ

কিছু বিষয়ের দিকে সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ


দেবু রায়:চিন্তন নিউজ:৩রা এপ্রিল:আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন ৫ই এপ্রিল এ রাত ন’টা থেকে ন’টা দশ পর্যন্ত মোমবাতি জ্বালাতে কারন এই যে ১৩০ কোটি জনগন সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করছেন সেটাকে প্রকাশ করার জন্য। খুব ভালো প্রস্তাব . কিন্তু যদি তাই হয় , তাহলেও কতগুলো প্রশ্ন মনে আসে।
১) মোদীজি বলছেন সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াই করার কথা, আর ওনার দলের আঁটি সেল ক্রমাগত উস্কানি মূলক, বিভেদ মূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে , যা প্রায় সবার কাছে এসেছে , হয়তো বা অনেকেই সোশ্যাল সাইট এর মাধমে ভিডিও টা দেখেছেন, অথবা পেয়েছেন । তাহলে কোনটা ঠিক?
২) মোদীজি একটা বলছেন আর তার দলের আঁটি সেলে আর একটা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কেন এই দ্বিচারিতা ?

এবার একটা হিসাব দেখা যাক্, দেশের অর্থমন্ত্রী বললেন যে কোরোনার জন্য দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে বেরোতে স্বল্প সঞ্চয়ে , অথবা ফিক্সড ডিপোজিটের উপর সুদের হার কমাতে বাধ্য হচ্ছেন, কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এর ফলে অসংখ্য সিনিয়ার সিটিজেনদের কি অবস্থা হবে একদিকে ঔষধের খরচ প্রতিদিন বাড়ছে, খাদ্যবস্তুর দাম প্রতিদিন বাড়ছে, তাঁদের কি অবস্থা হবে এরকম ভাবে চলতে থাকলে তাঁদের বেঁচে থাকাটাই তো অসম্ভব হয়ে যাবে, এবং তারা যদি কিছু করে ফেলেন তার দায়িত্ব কি সরকার নেবে? একটা কথা মনে রাখবেন সব সিনিয়র সিটিজেন কিন্তু পেনশন পান না। কেন অর্থনীতির অবস্থাকে ভালো জায়গায় আনার জন্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে বলি করা হবে সবসময়ে ?

কেন যে সমস্ত কর্পোরেটদের ছাড় দেওয়া হয় সব সময়ে, বিভিন্ন সময়ে যুক্তি দেখানো হয় দেশের মানুষকে কিন্তু বাস্তব বলে অন্য কথা , বাস্তব বলে যারা ছাড় পায় তাঁদের লাভ হয় কিন্তু আপামর জনসাধারনের কিছু লাভ হয় না। তাহলে কেন এই সময়েটা বন্ধ করা হবে না ?.

একটা তথ্য দেশের লোকসভা সদস্য ৫৪৫জন রাজ্য সভা ২৪৫জন। রাজ্য আছে ৩০টা তার এম‌এল‌এ সংখ্যা ৪১২০ জন, অর্থাৎ মোট যোগফল দাঁড়ালো ৪৯১০। এবার এই ৪৯১০ জন প্রত্যেকে যদি পাঁচ লক্ষ করে টাকা দান করেন সংখ্যাটা কি দাঁড়ায় ৪৯১০×৫০০০০০= ২,৪৫,৫০০০টাকা এছাড়া ৩০+৭ রাজ্য পাল, মোট ৩৭জন রাজ্যপাল প্রত্যেকে যদি দশ লক্ষ টাকা ধরা হয় তাহলে মোট হিসাবটা কোথায় দাঁড়ায় একটু ভেবে দেখুন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।