গৌতম প্রামানিক; চিন্তন নিউজ:১৯শে জুন:– যখন এটা লিখতে বসছি, তখন সামগ্ৰীক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ কিভাবে করবো ভেবে পাচ্ছিনা । কারন,- এই মুহূর্তে সমস্ত মাধ্যমে চোখ রাখলেই একটাই খবর চীন সীমান্তে আক্রমণ করছে অনৈতিক ভাবে, মদত দিচ্ছে নেপালকে, সেও নাকি আজকে নতুন সীমানা চিহ্নিতকরণ করলো, আবার ভারতকে হুমকি দিচ্ছে। এদিকে পাকিস্তান ভয় দেখাচ্ছে ভারতকে।
এইসব খবরের মাঝে পরিকল্পনা মাফিক মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে । কিন্তু এসএফআই গ্ৰামবাসীদের নিয়ে ক্যানিং-এ বিডিও অফিসে ঘেরাও করেছে, একি মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে??? না ,তার বদলে দেখানো হচ্ছে অর্ধেক করে বারুইপুরের হাইওয়ে অবরোধ করে বিজেপি চীনের দ্রব্য বয়কট করতে বলছে।
এক্ষুনি মোবাইল বেজে উঠলো ওপার থেকে– বালুর ঘাট থেকে মিজানুর বলছি, কেমন আছেন!! উত্তর দিলাম শারীরিক ভাবে ঠিক থাকলেও এই ভাবে কর্মহীন হয়ে আর ভালো লাগছে না!!
মিজানুর–
আর কিছু করার নেই দাদা জীবনের এতবড় দুঃসময় আসবে স্বপ্নেও ভাবতে পারছি না। কাকে যে বলি! কেইবা শুনবে! আশপাশের প্রতিবেশীর অবস্থাও একই, চাষ-আবাদ নেই, রেশন অপ্রতুল, ভীন রাজ্য থেকে যে শ্রমিকরা এলো প্রায় শূন্য হাতে! ফলে গ্ৰামের সামগ্ৰীক অবস্থা শোচনীয় ভাবে ভেঙে পড়ছে! ছাড়ছি দাদা–
কোনো উত্তর দিতে পারলাম না।
ফোনটা ছেড়ে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম, কারন– এই মিজানুর জেলা স্বাক্ষরতা সমিতির একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন। গ্ৰামেগঞ্জে নিরক্ষরতা দূরীকরণের বহু কাজ নিষ্ঠার সাথে করেছে দীর্ঘদিন, অত্যন্ত সহজ সরল অমাইক মানুষ। বালুর ঘাটে গিয়েছি, দেখেছি সামান্য অর্থের বিনিময়ে খুশি মনে সমাজ সংস্কারের কাজে নিজেকে কিভাবে দিয়ে দিয়েছে। আসলে কয়দিন আগেই জেনেছিলাম ওর ভাই লতিফ অন্ধ্রপ্রদেশে ছিল, এখানে তার স্ত্রী ও ছোট্টো মেয়ে আছে, ঐ গ্ৰামের পরেশদা আমার বিশেষ পরিচিত, ওনার মাধ্যমেই জেনেছিলাম লতিফের শোচনীয় আর্থিক অবস্থার কথা। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে এসেছে একটা উপাধি নিয়ে তাহলো ,’পরিযায়ী’!!
ক্রমশ