রাজ্য

বাতানুকূল বাসস্ট্যান্ড পরিনত ডাস্টবিনে


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৯শে জুন:- কলকাতা কর্পোরেশনের চরম অপদার্থতায় অন্তত চারশো টি বাসস্ট্যান্ড পরিনত হয়েছে ময়লা ফেলার জায়গায়।। কোষাগারের একটা বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে তৈরি বাসস্ট্যান্ড গুলো পরিত্যক্ত ও জীর্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে বাসস্ট্যান্ড গুলো তৈরি করতে এত টাকা খরচ হয়েছে সেগুলো এবং তার আশেপাশের ফুটপাত এলাকায় ময়লা আবর্জনা, কাঠের কাঠামো, লোহার ভাঙাচোরা অংশ ফেলা হয় আর তার মধ্যেই বাস করে রাস্তার ভবঘুরের দল।।

এরকম একটা বাসস্ট্যান্ড উল্টোডাঙা হাডকোর মোড়, প্রচুর সরকারি টাকা খরচ করে বাতানুকূল বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছিল।। সেই স্ট্যান্ড এর চরম গাফিলতি কলকাতা কর্পোরেশনের।। বাতানুকূল যন্ত্র খারাপ হয়ে পড়ে আছে অনেক দিন ধরে।। আলো পাখা কিছুই আর নেই।। সুন্দর সুন্দর কাঁচের শেড গুলো কিছু ভেঙে গেছে আর যেগুলো আছে সেগুলো ধূলোয় ভর্তি। খান্না মোড়ের বাসস্ট্যান্ড এর অবস্থাও তথৈবচ। বসার জায়গা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।। প্রিন্স আনোয়ার শা রোড ও গোলপার্ক এর খুব খারাপ। সব ভেঙেচুরে পড়ে আছে। বেলেঘাটা,রুবি মোড়, যাদবপুর ,বেহালা প্রভৃতি জায়গার বাসস্ট্যান্ড গুলো দেখলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে।। কোথায় বসার জায়গা নেই।। মাথার উপর শেড নেই পচা দূর্গন্ধে ভরে রয়েছে এলাকা। চুড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কলকাতা কর্পোরেশনের কোন উদ্যোগ নেই এগুলো ঠিকঠাক করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার।। সামনে বর্ষাকাল জল জমবে আর সেই জমা জলে বাড়বে ডেঙ্গুর মশা। মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা। স্ট্যান্ড গুলোর এমন দূর্দশা যে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় তৈরি এবং তাঁর হাসিমুখের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন করা হয়েছিল সেগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। ছবি ছিঁড়ে খন্ড বিখন্ড হয়ে পড়েছে সেগুলোও কেউ ঠিক করে না এমন অপদার্থ পৌর প্রশাসন। ফুটপাতে দাঁড়ানোর জায়গায় সুন্দর করে সাজিয়ে টালি বসানো হয়েছিল সেগুলো খূবলে খুবলে উঠে গেছে আর তার ফলে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।। সেখানে জল জমে জমে পিছল হয়েছে এবং দূর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।।

বাস যাত্রীরা এখন আর বাসস্ট্যান্ডে না গিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েই বাস ধরেন।এই পরিস্থিতিতে সামনে কর্পোরেশন নির্বাচন। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নির্বাচন পিছিয়ে গেছে। প্রায় দু’মাস অতিক্রান্ত হয়েছে করোনা সংক্রমণ এর ভয়াবহতা। মানুষ এখন করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে করে বাঁচার চেষ্টা করছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। স্বভাবতই এবার পৌরসভার ভোটের দিকে নজর তৃনমুল কঙগ্রেস এর। বাসস্ট্যান্ড গুলো কিছু বিধায়ক , সাংসদ আর কিছু পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু তৈরি করেই হাত উল্টেছে সবাই সেগুলো যে দেখভাল করতে হয় সেগুলো আর কারুর মাথায় আসে নি।। ফলে ঝাঁ চকচকে বাসস্ট্যান্ড গুলো ভেঙেচুরে , আবর্জনাময় হয়ে পড়ে আছে।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।