দেশ

কৃষক আন্দোলনে ভাঙতে কেন্দ্রীয় সরকারের অপচেষ্টা।


কল্পনা গুপ্ত: চিন্তন নিউজ:৯ই ডিসেম্বর:– কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কৃষি আইনের পরিবর্তন চেয়ে পাঞ্জাব- হরিয়ানার কৃষকের এক বিরাট অংশ যে প্রবল আন্দোলন শুরু করেছেন সেকথা সম্পূর্ণ হয় যে এই আন্দোলনে বাম সংগঠনগুলির অন্যতম সারা ভারত কৃষক সভারও রয়েছে এক অনন্য ভূমিকা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের বামপন্থী সংগঠনগুলি এই আন্দোলনের সাথে থেকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছে। ৮ই ডিসেম্বর দেশজুড়ে কৃষক ধর্মঘটের কয়েকঘন্টা আগেই চলে এলো এক নতুন বিষয়। কৃষকদের পঞ্চম দফার বৈঠকেও দাবি ছিলো নয়া তিনটি কৃষি আইনই বাতিল করতে হবে। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় হরিয়ানার ২০ জন কৃষকের একটি ডেলিগেশন টিম , যাকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রগ্রেসিভ ফার্মার্স নামে উল্লেখ করেছে যার নেতৃত্বে ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত কমল সিং চৌহান, তারা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সাথে দেখা করেন। তাঁরা সম্মতি জানান কৃষি আইনের দুটি সংশোধনি করলেই হবে এবং তাঁরা এতেই খুশি। কেন্দ্র সেকথাই দাবি করে।

পর্যবেক্ষদের বক্তব্য ও বিশ্লেষণ বলছে অন্যকথা। তাঁদের মতে এই প্রবল আন্দোলনকে ভাঙ্গতে মরিয়া সরকার। তাই ১ লা ডিসেম্বর তৃতীয় দফার বৈঠকে শুধুমাত্র পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক নেতাদের ডেকে আন্দোলন ভাঙ্গার কৌশল নিয়েছিলো কেন্দ্র। পৃথক কমিটি গড়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিলো। কৃষক নেতারা সেই ফাঁদে পা না দিলেও হরিয়ানার বিজেপি অনুগামী কিছু কৃষক এতে সাড়া দিয়েছেন। কিন্তু এই বিরাট আন্দোলনে প্রায় ৪০০টি সংগঠন যার মধ্যে বিশেষ করে বামপন্থী সংগঠনগুলি একযোগে অনড় অবস্থানে আছেন। তাদের দাবি, নয়া কৃষি আইনের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করার অঙ্গীকার যখন প্রবল তখন কিছু ক্ষুদ্র থানা ভিত্তিক বা কিছু জনের মাধ্যমে আন্দোলন দুর্বল করার অভিপ্রায় অত্যন্ত দুর্বল পদক্ষেপ। যে কৃষি আইন জনকল্যাণমুখী বলে প্রচার করা হয়েছিলো তা কেন সংশোধনের কথা ভাবছে সরকার তা আজ প্রশ্নের মুখে। বুধবার ৯ ডিসেম্বর ষষ্ঠ দফার বৈঠক রয়েছে। এর আগের বৈঠকগুলিতে কোন রফা সূত্র মেলেনি। কৃষক নেতারা দুটি সংশোধনীর প্রস্তাব নাকচ অনড় আছেন। এখন অপেক্ষা ষষ্ঠ দফার বৈঠকে কি হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।