রাজ্য

এজলাস থেকে হাতকড়া সমেত ছুটে পালালো আসামী!


রণদীপ মিত্র:চিন্তন নিউজ:২৮শে ফেব্রুয়ারি:–আসামী ছুটছে হতকড়া পড়েই ছুটছে। তিন কিলোমাটার এক নি:শ্বাসে ছুট। শ্মশানে জঙ্গলে আশ্রয়। নিশ্চিত হন নি। সেখান থেকে পাশের কলেজ ক্যান্টিন লাগোয়া ঝোপে গা ঢাকা। তবুও রেহাই হল না, হাতকড়া পড়া অভিযুক্ত ফের ধরা পড়ে পুলিসের জালে। পর্দায় দেখা যায় এমন দৃশ্য এবার চাক্ষুস করেছেন সিউড়ি শহরের মানুষ, সিউড়ি আদালত চত্বর। হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে এমন কান্ডে।

বুধবার দুপুরে সিউড়ি আদালত সাক্ষী থেকেছে এমনই হতচকিত করার মত ঘটনার।  হুলূস্থূল পড়েছে আদালত চত্বরে। হাতকড়া পড়ে আদালত চত্বর ছাড়িয়ে ছুটছে এক অভিযুক্ত। শহরের রাস্তা ধরে ছুটতে ছুটতে শহর ছাড়িয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এক নি:শ্বাসে ছুট।   পুলিসকর্মীরা তখন দিশেহারা। একটি মোটর বাইক জোগার করে পুলিসকর্মী হন্যে হয়ে খুঁজছে আসামীকে। প্রায় দু-ঘন্টা ধরে চলেছে দৌড়ঝাঁপ। শেষমেশ ফের পুলিসের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত। সেলুলয়েডের পর্দায় দেখা দৃশ্য এবার চাক্ষুস করেছে সিউড়ি আদালত চত্বর, শহরের মানুষ।

   জানা  গেছে, মঙ্গলবার রাতে সিউড়ি থানার হাটজনবাজার কলোনীর বাসিন্দা সজল চক্রবর্তীকে মাদক বিক্রির অভিযোগে  হাতে নাতে ধরে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়।  আদালতে চালান করলে   ধৃত সজল চক্রবর্তীকে বুধবার দুপুরে সিউড়ি জেলা আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের এজলাসে তোলার জন্য অন্যান্য আসামীদের সঙ্গে সজলকেও নিয়ে রওনা দেয় পুলিশ। আদালত চত্বর তখন ভীড়ে ঠাসা। গিজগিজ করছে  লোক।  

এজলাসের সামনে থেকেই আচমকা হ্যাচকা টানে হাত ছাড়িয়ে নিমেষে ছুট মারে ওই ধৃত। রীতিমত বেকায়দায় পড়ে যায় আসামী বহনের দায়িত্বে থাকা পুলিস কর্মীরা। দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী মীর আলম হোসেন স্থানীয় লোকের কথা শুনে আসামীর পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে একাই ধাওয়া  করেন। প্রথমে যান অভিযুক্তের বাড়ি। তারপর নানাদিকে ফোন করে পলাতক অভিযুক্তের খোঁজের চেষ্টা চালান। বাইক নিয়ে দৌড়াতে থাকেন শহের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। খবর আসে অভিযুক্ত প্রায় তিন কিমি দূরে শহরের বাইরে থাকা শ্মশানের জঙ্গলে লুকিয়েছে। ধাওয়া করে সেখানে পৌছান পুলিসকর্মী।

অভিযুক্ত বেগতিক বুঝে পাশেই থাকা  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যান্টিন লাগোয়া ঝোঁপে গা ঢাকা দেন। ততক্ষণে পুলিশ কর্মী মীর আলম হোসেন বাইক নিয়ে পৌছে যান এলাকায়।। আসামীকে লুকোতে দেখে বাইক ফেলে আবার ছোটে তার পেছনে পেছনে। দৌড়তে দৌড়তে চিৎকার করতে থাকে। আওয়াজ শুনে কলেজের পডুযারা ঘিরে ধরে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রদের সাহায্যে শেষমেষ পলাতক আসামীর নাগাল পায় পুলিশ। হাত কড়া দিয়ে বাইকের সঙ্গে তালা লাগিয়ে বাইকে চাপিয়েই ফের আসামী নিয়ে আসা হয় কোর্টে । হাঁফ ছাড়েন পুলিস কর্মীরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।