স্বাতী শীল: চিন্তন নিউজ:৪ঠা ফেব্রুয়ারি:—করোনা ভাইরাসের কারণে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা ‘হু’-এর ঘোষণা ইতিমধ্যেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনের কাছে, তারই মধ্যে চীনের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু ঘটলো চীনে। সোমবার পর্যন্ত যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৩৬১ মঙ্গলবারে তা এসে দাঁড়িয়েছে ৪২৫ এ। পরিস্থিতি যেভাবে ক্রমশ নাগালের বাইরে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তাতে ‘জরুরী অবস্থা জারি’ হয়েছে চিনে।
ইতিমধ্যেই চীনের ১৯ টি শহরকে বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ পৃথক করে দেয়া হয়েছে। বিমান পরিষেবাসহ সমস্ত রকমের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এমনকি স্কুল-কলেজ অফিস ও বন্ধ করা হয়েছে। সংক্রমণের ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সম্পূর্ণরূপে গৃহবন্দি, এমনকি তাদের বাজার করতে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে হারে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে তাদের চিকিৎসার সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে চীন সরকারের পক্ষে। সার্জিক্যাল মাস্ক সহ বেশকিছু সরঞ্জামের ইতিমধ্যেই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই রোগের জন্য মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই দেড় হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি বিশেষ হাসপাতাল তৈরি করে ফেলা হয়েছে যা সম্ভবত এই সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাবে।
কিন্তু এত নিরাপত্তা সত্ত্বেও চীনের বাইরে, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া,ভিয়েতনাম, হংকং, তাইওয়ান,ফিলিপিন্স, ম্যাকাও, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নেপাল,শ্রীলংকা, কানাডা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা ও আরব আমিরশাহী এই ২৪ টি দেশে এই রোগে আক্রান্তদের খবর পাওয়া গেছে। ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে বেশির ভাগ দেশই এখন চীনে যাওয়ার উপরে নানারূপ বিধিনিষেধ জারি করেছে।
এমতাবস্থায় সোমবার বিশ্ববাসীকে কিছুটা হলেও আশার বাণী শুনিয়েছে তাইল্যান্ড।জ্বর ও এইচআইভির অ্যান্টিভাইরাসের ককটেল দিয়ে করোনাভাইরাস কে নিয়ন্ত্রণ করার কথা ঘোষণা করে।তবে এই পরীক্ষা ঠিক কতটা সফল হবে সেটা জানাটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।।