মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:৫ই ফেব্রুয়ারি:–প্রাচীনকালে ও মধ্যযুগে বিদ্যাচর্চা অনেকটাই ধর্মীয় বন্ধনে সমাজের উচ্চশ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো।ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থায় প্রথমদিকে ব্রিটিশ শাসন সহায়ক শ্রেণী তৈরীর জন্য বিদ্যালয় শিক্ষা শুরু হলেও পরবর্তীতে রামমোহন, বিদ্যাসাগরের মতো ব্যক্তিত্বদের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয় শিক্ষার আস্বাদ সমাজের সবশ্রেণীর ছাত্ররা ও ছাত্রীরা লাভ করে।
কালক্রমে বিদ্যালয় শিক্ষা বিস্তারলাভ করে আজকের রূপ পরিগ্রহ করে। বর্তমানে সরকারি বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোগত দূর্বলতায় ছাত্র শিক্ষক অনুপাতে বৈষম্য রয়েছে। তাই বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে “পেছন বেঞ্চের ছাত্রছাত্রী” বা “ব্যাক বেঞ্চার” নামে কিছু ছাত্রছাত্রী তৈরী হচ্ছে। যারা সব শিক্ষকের কাছে গুরুত্ব পায় না। তারা সেই অর্থে “ক্যারিয়ারিস্টিক” নয়। কিন্তু এরাই মিশে থাকে বিদ্যালয়ের মূলস্রোতে। শুধু বিদ্যালয় নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাদের অংশগ্রহণ অনেক শিক্ষকের শেখার। গাছ লাগানো হয়তো সবাই করে কিন্তু পরিচর্যা করে চারাগাছকে বৃক্ষে পরিণত করে তারাই। বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতায় তাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষা শুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয়, জীবনবোধের শিক্ষায় তারা শিক্ষিত। বই হয়তো তাদের সে ভাবে আকর্ষণ করে না বা আকর্ষণ করার মতো পরিবেশ পায় না কিন্তুু তারা শিক্ষিত।.
এরকমই লাস্ট বেঞ্চারদের সামনে আনতে বিশেষ উদ্যোগ আমতা ১নং ব্লকের সোনামুই কাদম্বিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল, এবারের প্রদর্শনীর বিভিন্ন মডেল তৈরি করার দায়িত্ব ক়াঁধে তুলে নিয়েছিল আমিনা,সুহানা, কোয়েল,মেহবুববার মত পিছিয়ে পড়া ছাত্রীরা। যাদের মার্কশিটে নাম্বার থাকে না। পড়ায় ফা়কি দেওয়ার জন্য লাস্ট বেঞ্চে বসে।কিন্তু একাগ্রতার সাথে মডেল তৈরি করলো।তারা তৈরি করলো সেভ নেচার, সেভ আর্থ এই বিষয়ে একটি বিশেষ মডেল। বৃহত্তর সমাজে তাদের আবেদন উল্লেখযোগ্য।