রাজ্য

তৃনমুলের পর এবার বিজেপির নৃশংসতার নজির স্থাপন


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৫ই জানুয়ারি:–তৃনমুল এর পর এবার বিজেপি নৃশংসতার নজির স্থাপন করল।_ গঙ্গারামপুরের পার্শ্বশিক্ষিকা নিগ্রহের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটিয়েছে তৃনমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত এর উপপ্রধান এবার সেই একই পথের পথিক হল বিজেপি।। ঘটনার সুত্রপাত কালিয়াগঞ্জ।। এখানকার এক উপপ্রধানের বিরুদ্ধেও উঠল নজিরবিহীন বর্বরতার ঘটনা।। এবার এর শিকার হন এক বৃদ্ধা।।

মোদী সরকার কোন জিনিসের দাম কমানোর চেষ্টা করে না । মানুষ এমন অভাবে রয়েছে যে সামান্য অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে অপারগ।। কিন্তু সাধারন মানুষকে অপদস্থ করতে সিদ্ধহস্ত।। অভিযোগ এই বৃদ্ধা ৬৪ বছর বয়সী মিনতি মন্ডলকে পিঁয়াজ চুরি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিজেপি উপপ্রধান।। সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ল্যাম্পপোস্ট এ বেঁধে বেধড়ক মারধর করে এবং ১৪ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।। ঘটনা ঘটিয়েছে বরুনা পঞ্চায়েতের বিজেপি উপপ্রধান ননীগোপাল মন্ডল।। লজ্জায় অপমানে এবং অত্যন্ত গরীব এই বৃদ্ধা টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।।

অত্যাচারের এই নজিরবিহীন ঘটনাতে বিজেপির বর্বরতার চেহারা সবার সামনে প্রকাশ হয়ে গেল।। মায়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে মাঝিয়ার গ্রামের ৫ জনের নামে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মেয়ে বীনারানী সরকার।। তৃণমূলের উপপ্রধানের পর এবার বিজেপি উপপ্রধানের এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোথায় পৌঁছেছে তা মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।। এক ব্যক্তির জমি থেকে পিঁয়াজ চুরির ঘটনায় সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল মেনে নিলেও জরিমানার কথা মানতে চাননি উপপ্রধান।। কিন্তু মৃতার জামাই সুব্রত সরকার জানান যে তাঁর শাশুড়ি বীনাপানী দেবীকে চোর অপবাদ দিয়ে প্রথমে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।। ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার জমির মালিক কে আর বাকি ১০ হাজার “”সমাজ”” কে দেওয়ার কথা বলা হয়।।সব শুনে সুব্রত বাবু অনুনয় বিনয় করে জরিমানার টাকা ১০ হাজার করতে বলেন ।।পরে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা রফা হয়।।বলা হয় ৮ দিনের মধ্যে টাকা মিটিয়ে দিতে হবে।।আরেক জামাইয়ের থেকে ৭ হাজার টাকা জোগাড় করেন ওই বৃদ্ধা।। বাকিটাকা জোগাড় করার চেষ্টায় ছিলেন।। কিন্তু এর মধ্যে শোয়ার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।। মেয়ে বীনাপানী মন্ডল বলেছেন অপমানে তাঁর মা আত্মহত্যা করেছেন এবং যারা এর জন্য দায়ী তাদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন।।

সালিশি সভা হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে কিন্তু মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে গ্রামের মানুষ এই সভা নিয়ে আর মুখ খুলতে চাইছে না।। মারধর ও জরিমানা হওয়ার পর থেকে মিনতি মন্ডল আর লোকের সামনে আসছিলেন না প্রচন্ড অপমানের জন্য।। ঘটনায় প্রকাশ মিনতি মন্ডলের স্বামী বাঁশি মন্ডল অনেক দিন আগে মারা গেছেন ___বাড়িতে তিনি একা থাকতেন।। মহিলার ছেলে দিল্লিতে শ্রমিক এর কাজ করেন ।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।