মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:৬ই ফেব্রুয়ারি:– কিছুদিন আগে গত সোমবার বিশিষ্ট নেতা অং সান সু চিকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী গৃহবন্দী করে রেখেছে যার প্রতিবাদে সেই দেশের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা হাতে লাল ফিতে বেঁধে রাস্তায় নামেন যা তাদের রাজনৈতিক দলের প্রতীক।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এককাট্টা হয়ে আন্দোলনে নামেন শতাধিক শিক্ষক ও ছাত্ররা। ‘থ্রী ফিঙ্গার সেলুট’ হল তাদের আন্দোলনের প্রতীক যার মাধ্যমে স্বৈরাচারী মায়ানমার প্রশাসনের বিরোধিতা দেখানো হয়েছে।
অং সান সু চি এর সমর্থনে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ওপর সরকার শুরু থেকেই চুপ ছিল। যার ফলে ইয়াঙ্গন তথা সমগ্র মায়ানমারে গড়ে উঠেছে ভীষন আন্দোলন, যেমন বাসনপত্র বাজানো এবং বিপ্লবী গান গাওয়া। ইয়াঙ্গনের হাসপাতালগুলির ডাক্তার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রা কাজ বয়কট শুরু করেছে।
এই আন্দোলন রুখে দেওয়ার জন্য মায়ানমারে ফেসবুক ব্যান করে দেওয়া পর্যন্ত হয়েছে যা এই দেশে ভীষন ভাবে ব্যবহৃত। যদিও এই আন্দোলন অনবরত ব্যাপকতার সাথে বেড়ে চলেছে। তবে বেশিরভাগ লোক এখনও ভার্চুয়াল ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কগুলি – ভিপিএন – ব্যবহার করে অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়েছে এবং এ কারণেই প্রচুর বিক্ষোভ চলছে।
সেনাবাহিনীর যে সহিংস ক্র্যাকডাউনগুলি সক্ষম তা এখানকার লোকেরা খুব ভাল করেই জানেন, সে কারণেই আপাতত কোনও রাস্তার বিক্ষোভ নেই। তবে অন্যান্য উপায়ও রয়েছে যে লোকেরা তাদের কণ্ঠ শুনতে পারে। শুক্রবারের ক্যাম্পাসের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা বলেছিলেন যে তারা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটি করছেন।তাঁদের বক্তব্য তাঁরা সামরিক শাসনে বেড়ে উঠেছেন,অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে। তাই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য গণতান্ত্রিক সরকার চায়।