শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

করোনা কথা


শ্যামল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:১২ই এপ্রিল:- বর্তমানে প্রশ্ন হচ্ছে কে বা কারা বিশ্বজুড়ে এই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে এবং কেন? নাকি এই উদ্ভুত অবস্থার ফয়দা তুলতে কেউ কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে?এই বিষয়ে এখনই হয়তো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না। তবুও কিছু ‘কিন্তু’ রয়েই যাচ্ছে। মগজে খচখচ করছে।

বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা একটু উলটে পালটে দেখা যাক। প্রথমেই যেটা চোখে পড়ছে তা হলো একে অপরকে দোষারোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে হুমকি। নিজস্ব গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি করে তা বিশ্বজুড়ে ছড়ানোর জন্য আমেরিকা ও ইসরাইল যেমন চীনকে দায়ী করছে। আবার রাশিয়া, চীন ও ইরান তেমনই আমেরিকাকে দায়ী করছে। আর এই দোষারোপ কিন্তু মারাত্মক। এতে কারা লাভবান হবে? কারা এটার মার্কেটিং করছে অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে?
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ, ‘TED TALK’ কনফারেন্সে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যাবসায়ী বিল গেটস “The Next Outbreak” ভিডিও প্রেজেন্টেশন যা বলেন তা ছিল চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, “পরবর্তী কয়েক দশকে যদি কোনও কিছু ১ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটায়, তবে সেটা হবে উচ্চ সংক্রামক ভাইরাসের দ্বারা, যুদ্ধের দ্বারা নয়। আমরা পরমানবিক অস্ত্র-গুলির পিছনে অনেক বিনিয়োগ করেছি কিন্তু মহামারী বন্ধ করার জন্য কোনও সিস্টেমে আমরা খুব কমই বিনিয়োগ করেছি “। সেদিন আমরা তেমন গুরুত্ব দিই নি। (https://www.ted.com/talks/bill_gates_the_next_outbreak_we_re_not_ready?language=en)। কেউ এই থেকে সিদ্ধান্তে আসতেই পারেন যে গবেষণাগারে করোনা ভাইরাস তৈরি করে তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা এই কথা বলছেন তারা যুক্তি হিসেবে হাজির করছেন “THE PIRBRIGHT INSTITUTE”-এর কথা। ব্যাপারটা কী? এই সংগঠনটি বিল গেটস ও কিছু এন জি ও মিলে তৈরি। এদের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই করোনা ভাইরাস এর উপর পেটেন্ট নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর অনুমোদন পায়। (https://www.gatesfoundation.org/How-We-Work/Quick-Links/Grants-Database/Grants/2013/11/OPP1098099) এই পেটেন্টে পরিষ্কার উল্লেখ আছে যে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা, করোনা ভাইরাস তৈরি, তার জেনেটিক মিউটেশন, এবং করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির একচ্ছত্র অধিকার তাদেরই থাকবে। কেউ মনে করতেই পারেন যে গবেষণাগারে এই ভাইরাস তৈরি করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে। কিন্তু সেটা যুক্তির নিরিখে গ্রহনযোগ্য নয়। আরো অনেক তথ্য আছে। তার তত্ত্বতলাশে যাচ্ছি না। আমার ধারণা এই সুযোগটা গ্লোবালিস্টদের কাছে এসে গেছে। তাঁরা WHO, GPMB এর মতো সংস্থাগুলি গঠন করেন ও সেগুলিতে বিনিয়োগ করেন। এই গ্লোবালিস্টরা পর্দার পিছনে থেকে তাঁদের কিছু পরিকল্পনা এই সমস্ত সংস্থাগুলোকে সামনে রেখে এগুলির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকেন। গ্লোবালিস্টদের পরিকল্পনামতো WHO সতর্কতা প্রচারের নামে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত লাইভ প্রচার করে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন রেখা চিত্রের মাধ্যমে কী হলে কত মানুষ মরতে পারে তার প্রকাশ করে আতঙ্কের গভীরতাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। মোবাইলে ফোন করলেই শুনতে হচ্ছে ,খুক খুক কাশি আর করোনা নিয়ে সতর্কতা। আসলে গ্লোবালিস্টদের অন্যতম লক্ষ্য ‘ONE WORLD ORDER’।— ক্রমশ


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।