চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১২ই এপ্রিল:- কোভিড ১৯ এর করাল গ্রাসের কবলে সমগ্র বিশ্ব। বিশ্বের প্রায় সবদেশে ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত সংক্রমণের ক্ষমতা সম্পন্ন এই ভাইরাস। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে লক্ষাধিক।এই অবস্থায় এই মারণব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার নানারকম প্রতিষেধকের খোঁজ চলছে। আমেরিকার পর ভারতের করোনা রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হতে চলেছে এই প্লাজমা থেরাপি। এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে করোনা আক্রান্ত রোগীদের কিছুটা হলেও সুস্থ করা গেছে বলে আমেরিকার দাবী।
কেরালার ভাইরাস আক্রান্তদের উপরেই প্রথম প্রয়োগ করা হবে এই প্লাজমা থেরাপি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছেন।
এই প্লাজমা থেরাপির বিষয়ে চন্ডীগরের বিখ্যাত ডাক্তার ডঃ জগত্রাম জানান এই মারণ ভাইরাসের সঠিক প্রতিষেধক না থাকার কারণে এই প্লাজমা থেরাপি করা হচ্ছে। কিছু টা সুফলের আশায় আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে ভারতে তৈরী ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যাপক ভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে।
যদিও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন নয়।কনভালেসেন্ট প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত যেসব রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছে, তাদের শরীর থেকে প্লাজমা নিয়ে করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রবেশ করানো হবে। সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর প্লাজমা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে কোভিড ১৯ ভাইরাসকে হারাতে কিছুটা হলেও সক্ষম হবে বলে ডাক্তার দের ধারণা।
যদিও এই প্লাজমা থেরাপি বর্তমানে শুধুমাত্র ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু পরবর্তীতে সুফল পেলে তা দেশের সর্বত্রই ব্যবহার করা হবে।ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশ এই পদ্ধতি ব্যাবহার করার চেষ্টা করছে। এখন শুধুমাত্র গুরুতর অসুস্থ বা ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের উপরেই এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা যাবে।