রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহজনক আচরণ দুই কর্মীর


সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ২৪ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে আর কিছুদিনের মধ্যেই। বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা নিজেদের বিধানসভা এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। অনেকে আবার নির্বাচন কমিশনে নিজেদের মনোনয়ন পত্র পেশ করলেও প্রচার শুরু করেননি। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবার তাঁর কেন্দ্র ভবানীপুরে না দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছেন।

গত ১০ই মার্চ তিনি বিভিন্ন মন্দিরে পূজো দেওয়ার পর তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেন নির্বাচন কমিশনের অফিসে। ঠিক ছিল তিনি একটি বাড়ী ভাড়া করেছেন এবং সেখানেই সেই রাতটা থাকবেন বলে খবরে প্রকাশ । মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি তাঁর গাড়ীর পাদানীতে দাঁড়িয়ে জনসংযোগ করছিলেন। ঠিক কি কারণে জানা যায়নি তিনি গাড়ীর ভেতরে উল্টে পড়েন এবং তাঁর পায়ে চোট লাগে বলে খবরে প্রকাশ। সেই মুহূর্তে গ্রীন করিডর করে কলকাতার এস এস কে এম হসপিটালে নিয়ে আসা হয়। পায়ে প্রথমে প্লাস্টার করা হয় এবং পরে তা কেটে ক্রেপ ব্যান্ডেজ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন হুইলচেয়ারে বসে তিনি প্রচারে ব্যস্ত।

কিন্তু ঘটনা ঘটেছে অন্য এক জায়গায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পা ভাঙার চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে ছিল। গত শুক্রবার চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র খামবন্দী করে রেকর্ড রুমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল— আর সেই সময় হসপিটালের দুই কর্মচারী খামের ভেতর থেকে কিছু কাগজপত্র বার করে তার ছবি তোলার চেষ্টা করছিল। অন্যান্য কর্মচারীদের চোখে পড়ে যায় এই ঘটনাটি।

হসপিটালের সুপার ওই দুই কর্মচারীদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা যায়। তারা জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কোথায় চোট লেগেছে এটা জানা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। হাসপাতালের ওই দুই কর্মীর বয়ান শুনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলেন নি। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কেন তারা এই অন্যায় কাজ করতে গেল বা কার নির্দেশে এই কাজ করেছে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখা হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।