জেলা

চন্দ্রযান ৩ এর সফল উৎক্ষেপণ। সাফল্যের নিচে চাপা পড়ে গেল সরকারী ব্যর্থতার দায়


একটা বিশেষ প্রতিবেদন: মধুমিতা ঘোষ: চিন্তন নিউজ:২০/০৭/২০২৩:– চন্দ্রযান ৩ এর সফল উৎক্ষেপণে উচ্ছ্বসিত ভারতবর্ষ আজ একই সাথে আবেগ-আপ্লুত ও গর্বিত, আবার ব্যথিত। কারণ  এইচ  ই সির কয়েক হাজার মানুষ (কর্মচারী)এই কাজ করে গেলেন  বিনা পারিশ্রমিকে ।

কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রকের অধীনস্থ রাঁচির হেভি ইন্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের (এইচ ই সি) কয়েকশো ইঞ্জিনিয়ার ও কয়েক হাজার কর্মী মাসের পর মাস বেতন  পান নি। তথাপি, দৃঢ় সংকল্প এবং শক্তি ও সাহসে ভর করে, নিরলস প্রচেষ্টায় চন্দ্রযান ৩ এর যাত্রাকে সফলতা অর্জনে সহায়তা করেছে।

এই অভিযানে খরচ কয়েকশো কোটি টাকা। কিন্তু কেন্দ্রের অধীনস্থ এই সংস্থা তাদের কর্মচারীদের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা ভাবলোইনা ।  শুরু থেকেই কর্মচারীরা সেদিকে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও ( কেন্দ্রে জনহিতকর! সরকার থাকা সত্ত্বেও) কোনো অজ্ঞাত কারনে আজ অবধি বেতন বিষয়ে সমস্যার সমাধান হয়নি।
এই সংস্থা তাদের ধারাবাহিক আর্থিক অনটন সত্ত্বেও দেশের স্বার্থে চন্দ্রযান ৩ কে  লঞ্চিং প্যাড ও অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করে নি। আজও এই অভাবগ্রস্ত কর্মচারীবৃন্দ এক বুক কষ্ট নিয়ে সারা দেশের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিলেন সাহসিকতার সঙ্গে।

পরিশেষে দেশবাসী সেই একই প্রশ্ন  সরকারকে করছে – বিজ্ঞান মানুষের জন্যে – না কি মানুষ বিজ্ঞানের জন্যে।  চাঁদে পৌঁছানো যতটা গুরুত্বপূর্ন, দেশবাসীর ন্যূনতম চাহিদা পূরণের কাজও ঠিক ততটাই গুরুত্বপুর্ন – এটা সরকার যত তাড়াতাড়ি বুঝবে , তত দ্রুত এই সাফল্য দেশের মানুষের অন্তর ছুঁয়ে যেতে পারবে।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।