চৈতালী নন্দী, চিন্তন নিউজ, ১৭ আগষ্ট: কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির কারনে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার গায়ে অলাভজনক তকমা দিয়ে সেগুলি সরাসরি বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো সেই সংস্থা গুলির শেয়ার বেচে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারী সংস্থাকে। কেন্দ্রের এই নীতির ফলে আজ প্রকৃতপক্ষে বহু লাভজনক সংস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি সংস্থা এ রাজ্যের মধ্যেও পড়ছে। রাজ্য থেকে বিজেপি ও তৃনমূলী সাংসদদের মুখে এ রাজ্যের শ্রমিক, কর্মচারী ও অস্থায়ী শ্রমিকদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদী স্বর শোনা যায় না। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে কোনো মিছিলে সামিল হতে দেখা যায় না।
এবার দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প বাঁচাতে একমাস ব্যাপী ধর্মঘটের পথে যাচ্ছেন শ্রমিক কর্মচারীরা। আগামী ২০শে আগস্ট থেকে ৪১ টি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির ৪ লাখ শ্রমিক কর্মচারী এই ধর্মঘটে শামিল হবেন। এই ধর্মঘটে তাঁরা সাথে পাবেন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলিকেও। এই ধর্মঘট ভাঙার জন্যে কেন্দ্রের তরফে এসমা জারি করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে ইছাপুর ও কাশীপুরে বিরাট মিছিল ও প্রতিবাদ সভার ডাক দেওয়া হয়।কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী ও দেশের সংহতি বিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
এদিন কাশীপুরে গান এন্ড শেল ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তাঁদের মতে দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের মতো সংস্থাকে বেসরকারিকরনে দেশের আর্থিক বুনিয়াদ নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে দেশের নিরাপত্তাকে বাজারে র হাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে বাঁচাতে শ্রমিকরা এই ধর্মঘট এর পথে যাচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে ছুটির পরে পরেই শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকে ইছাপুর ফ্যাক্টরির সামনে।মিছিল স্লোগান, ফেস্টুন প্ল্যাকার্ডে ভরে যায় ঐ অঞ্চল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই স্লোগান উঠতে থাকে ‘প্রতিরক্ষা শিল্পকে বাঁচাতে সমস্ত মানুষ এক হও’। সেখানে মোদির কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ইতিমধ্যেই বেসরকারী সংস্থাকে রাইফেল তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। দেশের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির উপর এতো বড় আঘাত এর আগে কোনো দিন আসেনি।