রাজ্য

প্যারা টিচারদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ কল্যানীতে


নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ১৭ আগষ্ট : সল্টলেকের পর কল্যাণীতেও প্যারা টিচারদের আন্দোলন রণক্ষেত্র হয়ে উঠল। বেতনবৃদ্ধির দাবিতে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের আন্দোলন এবার আছড়ে পড়ল জেলাতেও। এদিন একাধিক বার টানাপোড়েনের পর বেলা ১১টা নাগাদ কল্যাণী মেন স্টেশনে পৌঁছে বিক্ষোভ শুরু করেন প্যারা টিচাররা। বিক্ষোভ ছড়ায় সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাসেও। পুলিশ দিনভর বারবার তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন অবস্থান বিক্ষোভ করার অনুমতি নেই, তাই তা করা যাবে না। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করতে রাজি ছিলেন না আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত কল্যানী স্টেশনের পাশে অবস্থান আন্দোলনরত প্যারাটিচারদের উপর আচমকা লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠলো পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিন আলো নিভিয়ে অন্ধকারের মধ্যে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে বলে অবস্থানরত শিক্ষকদের অভিযোগ। মহিলাদের উপরেও বর্বরভাবে আক্রমণ চালায় পুলিশ। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁদের পোশাক।

গতকাল বৃষ্টির মধ্যেই সল্টলেকে প্যারাটিচারদের আন্দোলন শুরু হয়। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী ডেপুটেশন নেননি। প্যারাটিচাররা সল্টলেকে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশ গতকাল তাঁদের জোর করে তুলে দেয়। মারধরও করে। এরপর ওঁরা ঠিক করেন কলকাতার ধর্মতলাতে অবস্থান করবেন। সেখানেও পুলিশ হামলা চালিয়ে তাঁদের তুলে দেয়। আজ তাঁরা ঠিক করেছিলেন কল্যাণীতে অবস্থান আন্দোলন শুরু করবেন। অবস্থান আন্দোলন শুরু করার ২ ঘন্টার মাথায় এই দুর্যোগের দিনেই আলো নিভিয়ে হিংস্র হামলা চালায় পুলিশ বলে জানিয়েছেন অবস্থানকারীরা।

শেষে সন্ধের পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে কল্যাণী থানার পুলিশ। আত্মরক্ষার তাগিদে বিক্ষোভকারীদের তরফেও ইট ছোঁড়া হয়। পুলিশের তরফে ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয়। আহত হন বিক্ষোভকারীদের অনেকেই। আন্দোলনের অধিকার নিয়ে প্যারাটিচারদের পক্ষে দাঁড়ান আরও অনেকেই। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে দুপক্ষের সংঘর্ষ। শেষপর্যন্ত প্রায় আটটা নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের স্টেশন চত্বর থেকে হঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এর আগেও সল্টলেকে প্যারাটিচারদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে।


মহিলাদের ওপর নৃশংস পুলিশের মার, এবং শিক্ষকদের সাথে সন্ত্রাসবাদীদের মত করে আচরণ সারা রাজ্যে নিন্দার ঝড়। আন্দোলনকারী প্যারাটিচারদের গলায় ভয়হীন প্রতিবাদের স্বর তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে হুঙ্কার দিয়ে বলেন কত মারবে পুলিশ? আন্দোলনে অবিচল থাকবেন দাবিপূরণ না হ‌ওয়া পর্যন্ত।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।