দেশ

অবরুদ্ধ ও জেলখানায় বন্দী কাশ্মীর, প্রতিবাদে মেহবুবা কন‍্যা ইলতিজা জাভেদ


চৈতালী নন্দী, চিন্তন নিউজ, ১৮ আগষ্ট: এক অলিখিত জরুরী অবস্থার মধ‍্যে অবস্থান করছে কাশ্মীর। সর্বত্র টহলদারী নিরপত্তা বাহিনীর ভারী বুটের শব্দ, কারফিউ এর আতঙ্ক, রাস্তায় রাস্তায় কাঁটাতারের বেষ্টনী আর আকাশে নজরদারি হেলিকপ্টার চক্করের  মর্মভেদী আওয়াজের মধ‍্যে থমথমে কাশ্মীর।

গত ৫ই আগস্ট সংবিধান হত‍্যাকারী ৩৭০ ধারা বিলোপের পর বিভাজিত জম্মু ও কাশ্মীর। সর্বত্রই নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে শুনশান রাস্তা ঘাট, অচল টেলিফোন ও ইন্টারনেট, প্রকাশিত হচ্ছে না রাজ‍্যের অধিকাংশ   সংবাদপত্র। স্বাধীনতা দিবসে মোদীর আশ্বাস, এখন থেকে এই উপত্যকা শুধু উন্নয়নই দেখবে। গত ৭০ বছরের আরব্ধ কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন।জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মতে, বিশেষ অধিকার খারিজ হওয়ায় রাজ‍্যবাসীর কোনো স্বার্থ বিঘ্নিত হবেনা বরং রাজ‍্যের সব সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি বিকশিত হবে।

তবে প্রশাসনের কর্তারা মুখে যাই বলুক আপাদমস্তক বন্দুক ও  জবরদস্তি কাঁটাতারের বেড়ায় মোড়া কাশ্মীর যে আদৌ স্বস্তিতে নেই, বিভিন্ন অসন্তোষের আগুন যে ধিকিধিকি জ্বলছে তার আঁচ তাঁরা পাচ্ছেন। তাঁদের আশ্বাস বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগাযোগ ব‍্যবস্থা শীঘ্রই স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। চলছে বিভিন্ন মিডিয়ায় উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত‍্যাহারের প্রচেষ্টাও।
ইতিমধ্যে  ইলতিজা জাভেদ, তাঁর মা মেহবুবা মুফতিকে গ্রেফতার ও তাঁকে গৃহবন্দী রাখার প্রতিবাদে  একটি খোলা চিঠি ও অডিও রেকর্ডিং একটি ওয়েবসাইটের তরফে  প্রকাশ করেছেন।তাঁর দাবী রাজনীতিতে যোগ না থাকা সত্বেও কেন তাকে মৌলিক অধিকার ভঙ্গের মতো শাস্তি পেতে হচ্ছে।

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ৩৭০ ধারা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার পর থেকে তাঁকে, তাঁর পরিবার ও দেশবাসীর উপর কেন নেমে এলো এই শাস্তির খাঁড়া। কেন বিশ্বের বৃহত্তম গনতন্ত্রে অকল্পনীয় অত‍্যাচারের মুখে সাধারণ মানুষ, কেন বাক স্বাধীনতার উপর এই নিষেধাজ্ঞার প্রাচীর? তিনি বলেছেন কাশ্মীরে যোগাযোগ ব‍্যবস্থা বন্ধের কারনেই এই অডিও রেকর্ডিং এর আশ্রয় তাঁকে নিতে হয়েছে। তবে তিনি আশাবাদী একদিন সূর্যের ভোর আসবেই। মুক্তির অপেক্ষায় কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।