চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১৫ইডিসেম্বর:–নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসাম যেন এক দ্বিতীয়’ কাশ্মীর’।।
বর্তমানে কাশ্মীরের মতোই সেনাবাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ আসাম।রাজ্যজুড়ে বড় বড় শহরগুলোতে জারি হয়েছে কারফিউ।এই শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে,ধেমাজি,ডিব্রুগর গুয়াহাটি , তিনসুকিয়া, জোরহাট, শোনিতপুর সহ বিভিন্ন অঞ্চল।রাজ্যের বাকি অংশগুলোতেও রয়েছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। বহু ট্রেন ও বিমান বাতিল করা হয়েছে। সারা রাজ্যে বন্ধ রুটের বাস চলাচল।বিমান বন্দর থেকে শহরে ঢোকবার জন্যে কয়েকটি বিশেষ বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।নিতান্তই চাকরীর বাধ্যবাধকতা ও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ শহরে ঢুকছে না। সারা রাজ্যজুড়ে আধাসেনা আর পুলিশের দাপাদাপি। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।টান ধরেছে খাদ্য সামগ্রীতেও।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/12/IMG_20191215_095340-1024x562.jpg)
এর মধ্যেও কারফিউকে অগ্রাহ্য করে চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচী।এদিন গুয়াহাটিতে ১০ঘন্টার গন-অনশনে বসেন আসুর কর্মীরা। এই গন অনশনে বেশ কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন। এই অবস্থাতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষবৈঠক বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে দুই দেশের সরকারই।
সারা দেশ এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেও আসামের পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন ধরনের। এখানের বিক্ষোভকারীদের দাবী যে এই এনআরসি বিলটির ফলে আসামে অবৈধ অধিবাসী বলে চিহ্নিত মানুষগুলি স্থায়ী নাগরিকে পরিনত হবে, যা নিয়ে আসামবাসীরা এতোদিন আন্দোলন করে আসছে। এই এনআরসি আইনটি আসাম চুক্তির ধারনার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে,আসাম সহ দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বৈশিষ্ট্য রক্ষা করা হবে।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/12/IMG_20191215_094959-1024x443.jpg)
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে ,অবসর প্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হবে ,যে কমিটি আসামের মানুষকে সাংবিধানিক সুরক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে কাজ করবে।হিংসা দমনে নেওয়া হবে কড়া ব্যাবস্থা। প্রকৃতপক্ষে এই এনআরসি আইনটি সারা দেশজুড়ে হিংসা ,অশান্তিও উত্তেজনা সৃষ্টি করছে এবং মানুষের মধ্যে ধর্ম ভিত্তিক বিভাজন তৈরী করছে যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনা। এর আড়ালে দেশের সম্পদ নিঃশব্দে চালান হয়ে যাচ্ছে বহুজাতিক পুঁজিপতিদের হাতে।