দেশ

দেশের শ্রম আইনে বিষম সংস্কার


রঘুনাথ ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:২৬শে নভেম্বর:-সংস্কার কথাটার অর্থটাই ঘুলিয়ে গেল শ্রম আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নূতন সিদ্ধান্তে।৪৪টি শ্রম সংক্রান্ত আইন বাতিল হয়ে আসতে চলেছে ৪টি ‘শ্রম কোড’। যার মধ্যে ‘শ্রম-মজুরী বিধি বিল’ পাশ হয়ে গেছে। ‘ শিল্পে নানা পেশায় নিরাপত্তা’ বিষয়ে বিলটি এখন সিলেক্ট কমিটির বিবেচনাধীন।

বর্তমানে সরকারের উদাসীনতায় বেসরকারি নিয়োগকর্তারা চলতি শ্রম-বিধির তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগ ক’রে যাচ্ছে। এখন, সরকারী ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে আইনগ্রাহ্য হিসাবে
চালু করার জন্য যে (৩ য়)বিলটি আনা হচ্ছে , তার ফলে ‘ পাকা চাকরী’-র সমস্ত প্রথা বিলুপ্ত ক’রে সবরকম নিয়োগে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হবে।

বলা হচ্ছে, এটা ‘ স্থায়ী মেয়াদী চাকরি চুক্তি’র ব্যবস্থা।৩ মাস- ৬ মাস’ মেয়াদে নিয়োগ হবে।সামাজিক সুরক্ষা-ব্যবস্থা থাকলেও ছাঁটাই করার ব্যপক ক্ষমতা থাকবে নিয়োগকারী
প্রতিষ্ঠানের তথা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতে। বর্তমান আইনে ১০০ কর্মীবিশিষ্ট শিল্পে ছাঁটাই করার ক্ষেত্রে যে সরকারী অনুমোদন নেওয়ার প্রবন্ধ আছে , তার তুলে দেওয়া হচ্ছে নূতন কোডে।

প্রস্তাবিত নূতন কোডে বিলকে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছে শিল্প- সংগঠন সিআইআই।তাঁদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে, নিয়োগ পেয়ে সারা জীবন কাজ করে অবসরের সময়ে অবসর নেওয়ার অভ্যাস আর চলবে না। কোম্পানি শুধু কর্মীদের স্বার্থ দেখবে, তা হতে পারে না। বিশ্বায়নের বাজারে টিকে থাকতে হলে কর্মীদের ছাঁটাই করার দরকার হয়।

বিশেষজ্ঞ মতে, বিষয়টি তর্কাতীত নয়। শ্রমিক গঠনের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ।
কারন, অর্থনীতির মূল সুত্র অনুযায়ী , শিল্পোৎপাদন ক্ষেত্রে ‘ ল্যান্ড, লেবার, ক্যাপিটাল, এন্টারপ্রেনিওরসিপ’ – এঁদের কারুরই গুরূত্ব অন্যের থেকে কম হতে পারে না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।