চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৬শে নভেম্বর:-মহিলাদের জীবন যন্ত্রনায় পাশে থাকবে গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির’ কুইক রেসপন্স টিম’।।মহিলারা চিরকালই সবধরনের হিংসা শোষণ ও সন্ত্রাসের সহজ শিকার।শুধুমাত্র এই রাজ্যে নয়,সারা দেশে এমনকি বিশ্বের নিরিখেও মহিলারা লিঙ্গ বৈষম্য ও নির্যাতনের প্রশ্নেও এখনও শোষকের প্রথম পছন্দ হিসাবে ই গন্য হয়।সে গার্হস্থ্য হিংসাই হোক বা সামাজিক শোষণ।সম্প্রতি সারা ভারত গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ২৮ তম সন্মেলন শেষ হয়েছে গতকাল। এতে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি হোলো ‘কুইক রেসপন্স টিম’।
এখন থেকে এই টিম বাড়ি বাড়ি ঘুরে শুনবে মহিলাদের জীবন যন্ত্রনার কাহিনী।প্রতিটি নির্যাতিত,বঞ্চিত, অসহায় ভয়ার্ত মহিলাদের পাশে থেকে এই টিম দ্রুত ব্যাবস্থা নেবে।দেবে জরুরীকালীন পরিষেবা ও আইনী সহায়তা।এখন থেকে তৃনমূল ও বিজেপির বাহিনীর হাতে নিগৃহীতা মহিলারা সঙ্গে পাবেন এই টিমকে।এদের আক্রমনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়বে এই বাহিনীর মহিলা কমরেডরা।এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন করে সাজানো হচ্ছে মহিলা বাহিনীর কমরেডদের।সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই নবনির্বাচিত কমিটির ঘোষণা, মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিটি অন্যায়ের হিসেব বুঝে নিতে, ও একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে এই ইউনিটগুলো কে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার শপথ নিতে হবে।এনআরসি থেকে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল,সেখান থেকে ডিটেনশন ক্যাম্প ,প্রতিবাদ হবে সোচ্চারে,লড়াই হবে একসাথে।
এই সন্মেলনে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন এই সমিতির সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাও লে।উপস্থিত ছিলেন বনানী বিশ্বাস, রেখা গোস্বামী ও কনিনীকা ঘোষ প্রমুখ।তাঁরা বলেছেন এক বিশেষ সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে সমাজ, মহিলারা তার বাইরে নয়।তৃনমূলের মোকাবিলায় ভয়ে অনেকে বিজেপির হাত ধরেছেন।এটা যে ভূল পথ তা বোঝাতে হবে।আটকাতে হবে সবধরনের মৌলবাদী কাজকর্ম, তা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু যাই হোকনা কেন।আরও বেশী করে সঙ্গে পেতে হবে নতুন প্রজন্ম কে।এই সব কাজ করার জন্যে তৈরী করতে হবে তহবিল।
এখনো এরাজ্যে শিশু বা নারী পাচার,খুন ধর্ষণ চলছে অবাধে ই।কর্মহীন রোজগারহীন সংসারের মহিলাদের জীবনযন্ত্রনার কথা শুনে তাদের পাশে থেকে যদি কিছুটা হলেও তাদের যন্ত্রণা ও কষ্টের লাঘব করা যায়,আপাতত সেটাই এই টিমের সাফল্য।উভয় সরকারের পাইয়ে দেওয়া রাজনীতি যে প্রকৃতপক্ষে আমাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে তা সকলকে বোঝাতে হবে।
এদিন সারাভারত কৃষকসভার ভক্তরাম পান বলেন যে দুই
সরকারের কারসাজি তে আকন্ঠ ঋনে ডুবে আছে কৃষকসমাজ,তার সঙ্গে তাদের মা বোনেরাও গভীর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন।এই সমস্যা মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে হবে,একজোট হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হবে।এদের এই সমিতির কর্যকারিতা বোঝাতে হবে,নিয়ে আসতে হবে এক ছাতার তলায়।তবেই সফল হবে এই আন্দোলন, মুক্তি পাবে মানুষ… তথা মহিলা সমাজ।