রাজ্য

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সার্ভেন্ট বলে উল্লেখ রাজ্য সরকারের!!


নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ:১লা অক্টোবর:– রাজ্য কো-অর্ডনেশন কমিটি ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট সামনে আনার দাবি জানালো।এবং রাজ্যসরকারি কর্মচারীদের সার্ভেন্ট বলে উল্লেখ করায় তীব্র প্রতিবাদ জানালো।

ব্রিটিশ কন্ডাক্ট রুলে সরকারি কর্মচারীদের সার্ভেন্ট বলে উল্লেখ করা হোতো। চিঠিপত্রেও সার্ভেন্ট বলে অভিহিত করা হোতো। ১৯৮০সাল থেকে বামফ্রন্ট সরকার এই সার্ভেন্ট কথা বাদ দিয়ে গভর্ণমেন্ট এমপ্লয়িজ কথাটা উল্লেখ করেন। বর্তমান সরকার রোপা বিধির ১২নং অনুচ্ছেদে সার্ভেন্ট কথাটি আবার ফিরিয়ে আনেন। এই ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানাই রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিশন।

খবর অনুযায়ী রাজ্যে পঞ্চম বেতন কমিশন পর্যন্ত সব বেতন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সরকার প্রকাশ্যে এনেছেন। কিন্তু ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি।রাজ্য কো-অর্ডিনেশনের দাবি রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। রিপোর্ট প্রকাশিত হ’লে সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন গুলি তাদের দাবি সরকারের সামনে আনতে পারে। সরকারের আর্থিক পরিস্থিতি জানতে পারে। বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হ’লে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। কর্মচারীদের সঙ্গে সরকারের মত বিনিময়ের সুযোগ থাকে।

পশ্চিমবঙ্গের এই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট ছাড়া দেশের বাকি রাজ্যে সব বেতন কমিশনের রিপোর্ট সরকার প্রকাশ্য এনেছেন। এই সরকার সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বাদ দিয়ে ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু করেন। আজ পর্যন্ত ৫০শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা বকেয়া রয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনে নূন্যতম ১৮০০০টাকা বেতন নির্ধারিত হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নূন্যতম ১৭০০০বেতন করেছেন, বাড়িভাড়া বাবদ ১৫%থেকে কমিয়ে ১২%করা হয়েছে। সবক্ষেত্রেই রাজ্যসরকারি কর্মচারীরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। ২.৫৭ ম্যাট্রিক্স অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হয়েছে।অথচ ভাতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেই ম্যাট্রিক্স ও ঠিক করে না মেনে খুশিমত বৃদ্ধি করা হয়েছে।এসব কারণে রাজ্যসরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে রাজ্য কো -অর্ডিনেশন কমিটি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।