রাজ্য

বৃষ্টি যখন ক্ষতি ও আতঙ্ক।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১লা অক্টোবর:–সামনে শারদ উৎসব প্রচুর ফুল প্রয়োজন কিন্তু ফুল গাছের গোড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে মানে জল । প্রতিটা গাছের গোড়ায় হাত আট ইঞ্চি করে জল দাঁড়িয়ে।। সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না কিন্তু যারা ফুলের ব্যাবসা করে তারা জানে বিপদ টা কি?? অমৃত কর জানালেন ধান চাষের সময় একফোঁটা বৃষ্টির জল পান নি আর এখন বৃষ্টির দরকার নেই তবু অকারণে বৃষ্টি হচ্ছে।। সব গাছের গোড়ায় জল, যা গোঁড়া পচিয়ে দেওয়া জন্য যথেষ্ট।। কপালে ভাঁজ চাষিদের।। প্রচুর ফুল নষ্ট হয়েছে ইতিমধ্যে। আরও নষ্টের ভয় আছে।। তাদের কথায় যা পাওয়া যাবে তাই নিয়ে বিক্রি করে দেখবেন কতটা লোকসান হল।।

ফুল শস্য বিমার আওতায় নয়।। কৃষক সভা দাবী করেছে বহুবার।। কেউ শোনে না চাষিদের কষ্টের কথা।২০১৫ তে যখন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলে ডুবে গিয়েছিল তখন ফুল চাষিরা পঞ্চায়েতে আবেদন করেছিলেন কিন্তু কেউই কিছু পায়নি।। ভুল ধরিয়ে দিয়ে অমৃত কর বললেন, গুটি কয়েক লোক টাকা পেয়ে ছিলেন তারা সবাই শাসক দলের তার চেয়েও মজার ব্যাপার তাদের কোন ফুল চাষ এর জমিই নেই!

লাভের আশা হারিয়ে যাচ্ছে তা সে ধান হোক বা গাঁদা, রজনীগন্ধা হোক বা পদ্ম হোক।। পূজাতে ফূল বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পাবেন ভেবেছিলেন।বৃষ্টি সেখানেও মেরেছে।।
মাঠে জল দাঁড়িয়ে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস।। মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি পূজা উদ্বোধন হয়ে গেছে পূজার গান লিখে ফেলেছেন।। কিন্তু মদন সাউ যে রীতিমত বিভ্রান্ত।পাশকুড়া তার নিজের এক বিঘা জমিতে গাঁদা , রজনীগন্ধা ফুল এর চাষ করেছিলেন, আরও ১৪ কাঠা জমি যে কুমড়ো, লঙ্কা আর চাষ করেছিলেন।। কথায় বলে চাষা কোনদিনই খুশি হয়না__কথা শুনে হেসে ফেলে বললেন, খুশী হবার উপায় কি ?? পূজো সামনে, প্রচুর ফুল প্রয়োজন।। সবাই জানে পাশকূড়াতে ফুল হয় ঢেলে। ট্রেনে যেতে যেতে দেখেন মাঠ ভর্তি ফুল। কিন্তু মাঠের নীচের খবর রাখেন ?? মদন সাউ বলতে লাগলেন “”””লাভ হত না কখনো এমন বললে মিথ্যা বলা হবে।। হয়েছে তবে লাভ কমেছে দুই তিন বছর।। তিনি বলেন তিনিএকা নয়, খোজ নিয়ে দেখলে প্রায় সকলের একই হাল।

২২হাজার টাকা খরচ হয়েছে এই এক বিঘাতে ভেবেছিলেন, লাভ হবে কিন্তু বৃষ্টি”””””সূমন মাইতির পদ্মের চাষ। রেলের ঝিল ভাড়া নিয়ে পদ্ম চাষ করেন তিনি। জানান আজ বলে নয় বরাবরই এমন।। একেকটা পদ্ম বেচেন দু-তিন টাকাতে।। এবছর প্রচুর হয়েছে।।। কিন্তু দাম পাওয়া যাবে না। কান ঘেঁষে খরচ উঠলে ,হয়।। জেলাতে ফুলের হিমঘর নেই। কয়েকটি আছে ব্যাক্তিগত, তাতে ভাড়া যেমন খুশী। ফলে সেখানে যাওয়া যায় না।

জাতীয় সড়কের পাশে ফুলের বাজার বসে,-চাষীরা সেখানে ফুল বিক্রি করে। এখানে বসতে গেলে রোজকার হিসেবে দশ টাকা দিতে হয়। এদের পাশে দাঁড়াতে হলে এদের নিজস্ব বাজার দর কার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।