জেলা

দঃচব্বিশ পরগণা জেলা নিউজ


চিন্তন নিউজ– অশোক কুমার দাস:–৩০শে জুলাই:-
চমকের চমকানি—–সময়টা ২০১১ সালের মে মাসের আগে , বাম বিরোধী আপামর বাঙালি সহ সারা দেশের রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ও কিছু সংখ্যায় বাম সমর্থক দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারাই বাংলার আকাশে নতুন সূর্য উদয় হবে । আশা মোতাবেক কাজ , কাজ মোতাবেক ফলে বামফ্রন্টের পতন ।

২০০৯ র ইউ পি এ ২ সরকারের সঙ্গী তৃণমূলের হাতে তিনটে পূর্ণ মন্ত্রী ও ছয়টি আধা মন্ত্রী থাকায় ভোট বৈতরণী পার হতে অযাচিত অর্থের অভাব হয়নি ।

২০১১ সালে নতুন সরকারের আগে দপ্তর ভিত্তিক পশ্চিম বঙ্গ সরকার কেন্দ্র থেকে যা পেত , নতুন সরকার তার তুলনায় দশগুন বেশি পেতে থাকলো । ফলে জনসাধারণের সামনে নতুন সরকারের পক্ষে চমক দেওয়ার কাজটা সহজ হলো ।

চমকপ্রদ বেশ কিছু চমকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি –
১- চুপ । দশ বছর বিরোধীদের চুপ থাকতে বলে শাসক পক্ষের কর্মী সমর্থকদের চমক দেওয়া ।
২- সব সরকারি দপ্তরের চেয়ার টেবিল বদল করে নতুন চেয়ার টেবিল দিয়ে কর্মচারীদের চমক দেওয়া ।
৩- সরকারি অফিস থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ হাসপাতাল সব সরকারি বিল্ডিংগুলোর গায়ে নিল সাদা রং লাগিয়ে জনসাধারণকে চমক দেওয়া ।
৪- জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের নামে ভূরিভোজের মহোৎসব করে সব পক্ষ কে চমক দেওয়া ।
৫- ক্লাবগুলোকে অনুদানের আওতায় এনে যুব সমাজকে চমক দেওয়া ।
৬- ব্লক স্তর থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত খেলা মেলার মাধ্যমে চমক দেওয়া ।
৭- পুরনো সরকারি প্রকল্পগুলোর নতুন নামকরণ করে সাধারণ জনগণকে চমক দেওয়া ।
৮- স্টেশন , রাস্তা বিভিন্ন মনীষীদের নামে নামকরণ করে বুদ্ধিজীবীদের চমক দেওয়া ।
৯- এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের নামে বেকারদের চমক দেওয়া ।
১০- বেকার ভাতা প্রকল্পের মাধ্যমে চমক দেওয়া ।

চমক দেওয়া এমন আরো অনেক , যা সাধারণ মানুষের পক্ষে নেত্রী গুণগ্রাহী হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ।

এসবের আড়ালে যা ছিল , তা সাধারণের পক্ষে বোঝা মুশকিল । যা বুঝেছিল শুধুমাত্র বামপন্থীরা ।

সেই সব সাধারণদের পক্ষে বুঝতে না পারা বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি –

১- বাজেট বহির্ভূত খরচ বাজেট বরাদ্দ খরচের থেকে বেশি । যা বিশ্বে কোনো দেশে কোথাও নজির নেই ।
২- সব সরকারি অফিসগুলোকে বকলমে দলীয় দপ্তরে রুপান্তরিত করা , যে নজির রাজতন্ত্রেও কোথাও কোনোদিন ছিলনা ।
৩- উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ঠিকাদারি কাজগুলোতে কয়েকগুণ বেশি খরচ ধরে ঠিকাদারদের পাইয়ে দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের পাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করা ।
৪- লাগামহীন মদের লাইসেন্স দিয়ে সমাজকে নেশাগ্রস্ত করিয়ে সত্য জানা থেকে ভুলিয়ে রাখা ।
৫- মাতালের মৃত্যুতে সরকারি ক্ষতিপূরণ দিয়ে সব পক্ষকে নেশাগ্রস্ত করিয়ে রাখা ।
৬- শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রেখে , সরকারি শিক্ষা ব্যাবস্থাকে লাটে তুলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কদর বাড়িয়ে দেওয়া । যার পরিনামে সরকারি শিক্ষকের সন্তান শিক্ষা নিতে ছুটছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ।
৬- স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার কোমোর ভেঙে , বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার জৌলুস ফিরিয়ে দেওয়া ।
৭- কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কৃষকে ঋণের ফাঁদে ফেলা ।
৮- কৃষক সহায়ক প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি ঋণ মকুবের রাস্তা বন্ধ করে কৃষক শোষণ চালিয়ে যাওয়া ।
৯- দিনের পর দিন দলীয় জুলুমবাজিতে একটা পর একটা কারখানা বন্ধ করে , বছরের পর বছর ধরে শিল্পমেলার নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কর্মসংস্থানের কোমর ভেঙে দেওয়া ।
১০- সাধারণের কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাঁওতা উন্নয়নী বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণদেরই বোকা বানিয়ে রাখা ।

এমন আরো বহু কিছু আছে , যা একটি রাজ্য তথা জাতির অভিমুখ কে পেছনের দিকে ফিরিয়ে দিতে যথেষ্ট ।

বাঙালির জন্য একটি কথা প্রচলিত ছিল – ” বেঙ্গল থিঙ্ক টু-ডে , ইন্ডিয়া থিঙ্ক টুমোরো “

সেই প্রচলিত ধারণাকেই দশ বছরে বদলে দিয়েছে এই অগ্নিরূপী অভিশপ্ত কন্যা ।

দক্ষিণচব্বিশ পরগনা জেলায় বাম পন্থী সংঘটন গুলি সবসময় আছে মানুষের সাথে , মানুষের পাশে ! গত ২৮শে জুলাই বারুইপুর পূর্ব বিধান সভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চম্পাহাটি বাজার এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে sanitized করা হয় , এআইডিডব্লিউএ ও এস‌এফ‌আই এর যৌথ উদ্যোগে !

দেবরাজ মন্ডলের প্রতিবেদন সরকার ব্যর্থ বিকল্প বামপন্থা !
৩০শে জুলাই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার ধামুয়া বাজার এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে এস‌এফ‌আই / ডিওয়াইএফ‌আই এর উদ্যোগে কোভিড-১৯ বিষয়ে মানুষ কে সচেতন করার লক্ষ্যে মাস্ক বিলি করা হয় , তার সাথে বাজার এবং তার সংলগ্ন এলাকায় senitizes করা হয় , এতে উপস্থিত ছিলেন ডিওয়াইএফ‌আই এর এরিয়া কমিটির সাধারন সম্পাদক জাগাঙ্গীর আলম , ও সভাপতি চন্দন সাহা ,

দেবু রায় এর প্রতিবেদন : বিকল্প বামপন্থা এই স্লোগানে সিপিআই (এম) পূর্ব যাদবপুর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে শ্রমজীবী ক্যান্টিন আজকে নিয়ে চতুর্থ দিনে পড়লো মোট ১২০ জন কে দুপুরের খাবার বিতরন করা হয়, সিপিআই (এম) গরফা পার্টি অফিস থেকে কিছু !আর কিছু খাবারের প্যাকেট বিতরন করা হয়, সন্তোষপুর “মডার্ন ল্যান্ড গার্লস স্কুল ” সংলগ্ন ” লেক পার্টি অফিস ” থেকে , যেভাবে খাবারের চাহিদা বাড়ছে , তা দেখে পার্টির কর্মী রা ভীষন ভাবে উৎসাহিত . চেষ্টা চলছে যত দ্রুত সম্ভব পার্টি অফিসের তিনতলা তে কিচেন টা তৈরি করা যায় ! মাত্র কুড়ি টাকাতে খাবারের প্যাকেট , যা আজকের দিনে ভাবা যায় না !


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।