মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:২৯ শে আগস্ট:- কেন্দ্রীয় সরকার এই বছরে জে,ই,ই ও নীট পরীক্ষা সেপ্টেম্বর মাসের পয়লা থেকে ছয় তারিখের মধ্যে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ছয়টি রাজ্য সুপ্রিমকোর্টে একটি এই পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে পুর্নবিবেচনাপত্র দাখিল করেছে।
এই রাজ্যগুলি সুপ্রিমকোর্টে মোট ছয়টি পিটিশন দাখিল করেছে। এই ছয়টি রাজ্যের তরফ থেকে যে যুক্তিগুলি তুলে ধরা হয়েছে তা হলো, এই অতিমারী অবস্থায় পঠনপাঠন বলতে গেলে বন্ধ। এছাড়া ভয়ংকর অবস্থায় যেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এই অতিমারী থেকে দূরে রাখার অন্যতম শর্ত , সেখানে ভারতবর্ষব্যাপী এই বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থীকে স্বাস্থবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ করা যাবে কিনা তা নিয়ে এই রাজ্যগুলি সংশয় প্রকাশ করেছে।ছাত্রদের সুরক্ষার প্রশ্নটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এই পিটিশনে স্বাক্ষরকারী রাজ্যগুলি হ’ল,পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড,রাজস্থান, মহারাষ্ট্র পাঞ্জাব ও ছত্রিশগড়। রাজ্যের ব্যক্তিরা হলেন, মলয় ঘটক ( মিনিস্টার – ইন – চার্জ,ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার এন্ড ই ,এস, আই, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্টবেঙ্গল)।,রামেশ্বর ওরাং ( ক্যাবিনেট মেনিস্টার অফ ফাইনান্স,গভর্নমেন্ট অফ ঝাড়খন্ড) ,রঘু শর্মা ( ক্যাবিনেট মিনিস্টার অফ হেলথ,গভর্নমেন্ট অফ রাজস্থান) বালবির সিং সিদ্ধু( ক্যাবিনেট মিনিস্টার অফ হেলথ,ফ্যামিলি ওয়ালফেয়ার এন্ড লেবার, গভর্নমেন্ট অফ পাঞ্জাব। উদয়রবীন্দ্র সামন্ত ( মিনিস্টার অফ হায়ার এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন, গভর্নমেন্ট অফ মহারাষ্ট্র ।
এদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করেছেন, নিট ও জে,ই,ই পরীক্ষা নিয়ে আর বিলম্ব করা সমীচীন নয়।
প্রসঙ্গত শিক্ষক মহল , এস,এফ,আই এর পতাকাতলে আন্দোলনরত ছাত্রসমাজের বক্তব্য জে,ই,ই ও নীট পরীক্ষার মতো একটা সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার মতো ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এই অতিমারীতে যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন ছিলো ,সেই ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার ব্যর্থ। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা ও রাজ্যগুলির বিরোধিতা দুটোতেই ছাত্রছাত্রীরা প্রহসনের শিকার। পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা সেই অন্ধকারেই সমাচ্ছন্ন। অতএব এমতাবস্থায় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রথম থেকেই সোচ্চার ভারতের ছাত্র ফেডারেশন।