দেশ

দেশে আরো প্রচুর মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা।


মাধবী ঘোষ:চিন্তন নিউজ:২৮শে জুন:–কর্মহীনের আশঙ্কা! 19 টি বড় সরকারি সংস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের ।আচ্ছে দিন ও নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্শিতে বসে ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু প্রথম দফার মেয়াদ পূর্ণ করে নরেন্দ্র মোদী পুনরায় দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রী হলেও “আচ্ছে দিন ” এলো কি? সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং টেলিকম সংস্থা বি এস এন এল ইতিমধ্যে বন্ধের মুখে। চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন লক্ষাধিক কর্মচারী। এর ওপর আরো 19 টি বড় সরকারি সংস্থা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। যার মধ্যে এইচ এম টি ওয়াচ লিমিটেড, হিন্দুস্তান কেবলস, তুঙ্গভদ্রা স্টিল প্রডাক্টস লিমিটেড, ইন্ডিয়ান ড্রাগসের মত বড় সংস্থাও রয়েছে।
জানা গিয়েছে, মূলত লোকসানে চলার কারণেই বড় সরকারি সংস্থাগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির সরকার। মঙ্গলবার লোকসভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। যদিও সরকার এখনও পাকাপাকি ভাবে বিষয়টি ঘোষণা করেনি। এক কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছে। মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশন এর সময় এক কংগ্রেস সাংসদ প্রশ্ন করেছিলেন, লোকসানে চলা সংস্থাগুলি নিয়ে কেন্দ্র সরকার কি পদক্ষেপ করতে চলেছে। ওই সংস্থাগুলি কি বন্ধ করে দেওয়া হবে নাকি বেসরকারিকরণ করা হবে? তারই জবাবে 19 টি সংস্থার নাম করে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই সংস্থাগুলি কতদিন ধরে লোকসানে চলছে, বর্তমানে সংস্থাগুলির কি অবস্থা- তাও বিশদ ব্যাখ্যা করে সরকার। তবে সংস্থাগুলি বন্ধ হলেও সেগুলির কর্মীদের জন্য কি পদক্ষেপ করা হবে সে ব্যাপারে সরকার কিছু জানায়নি।

প্রসঙ্গত, সরকারি বিমান সংস্থা ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ ইতিমধ্যে দেউলিয়া ঘোষিত হয়েছে। যদিও সরকারের তরফে এখনো সংস্থাটিকে পাকাপাকিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে গত পাঁচ- ছয় মাস ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বেতন পাননি। অন্যদিকে, সরকারি টেলিকম সংস্থা বি এস এন এল এরও প্রায় একই অবস্থা। গত কয়েক মাস ধরে বি এস এন এল এর কর্মীরাও বেতন পাচ্ছেন না। শীঘ্রই এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সরকার ঘোষণা করেছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।