দেশ

ক্রমশঃ জটিল হচ্ছে কাশ্মীর পরিস্থিতি।গৃহবন্দি মেহেবুবা মুফতি।গ্রেফতার সিপিআইএম নেতা তারিগামি!


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:৫ই আগস্ট:–পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে কাশ্মীরে। একের পর এক জঙ্গিকে নিকেশ করার পরও পাক জঙ্গিদের উপস্থিতি উড়িয়ে দিচ্ছে না ভারতীয় সেনা। ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে কাশ্মীরে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার ঠিক সকাল সাড়ে ৯টায় লোক কল্যাণ মর্গে সেই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি। মূলত মন্ত্রিসভার সদস্যদের ডাকা হয়েছে এই বৈঠকে।একদিকে কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লার মত নেতাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে খবর আসছে।কাশ্মীরের সিপিআইএম নেতা তারিগামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার থেকে উপত্যকায় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবাও। তাই এই পরিস্থিতিতে মোদীর এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্য পূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকের পর কোনও বড়ো ঘোষণা হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। রবিবারই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শুধু অজিত দোভালই নয়, সেই বৈঠকে ছিলেন আইবি প্রধান অরবিন্দ কুমার, র’-এর অফিসার সামন্ত গোয়েল. স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা ও অন্যান্যা আধিকারিকরা। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, একবার নয়, বারবার ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছ পাকিস্তান। যার জন্য কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে উপত্যকায়। তবে তীর্থযাত্রীদের দ্রুত উপত্যকা ছেড়ে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে এদিনই পাকিস্তানে জরুরি বৈঠকে বসেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেনা আধিকারিকদের নিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি সে দেশের ইসলামিক কো অপারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারিকে আর্জি জানিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যুতে যাতে তিনি বার্তা দেন। রবিবারই ভারতের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। ট্যুইট করে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে বার্তা দেন ইমরান খান। তিনি লিখেছেন, ‘সীমান্ত পার করে ভারত যে হামলা চালাচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানাই।’ ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের পরও ইমরান খানের দাবি, ১৯৮৩-র চুক্তি ভঙ্গ করে বোমা ফেলেছে ভারত। এই ঘটনা বিশ্বশান্তির পরিপন্থী বলে, রাষ্ট্রসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথা বলেছেন তিনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।