দেশ

গৃহবন্দী কাশ্মীর।রাতারাতি জারি ১৪৪ধারা ।


রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য:চিন্তন নিউজ:৫ই আগস্ট:—কেন বিপুল সৈন্য সমাবেশ? কেন এই প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধা হচ্ছে এই ভূস্বর্গকে? কেন এই চরম গোপনীয়তা? উচ্চস্তরের সরকারি আধিকারিকরাও
অন্ধকারে? কেন অমরনাথ যাত্রীদের সঙ্গে সব পর্যটকদের রাজ্য ছেড়ে চলে
যেতে নির্দেশ ?

এখন শুধু জল্পনার কুয়াশার জালে জড়িয়ে দেশের জনসাধারণ ।

রবিবার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব
রাজীব গৌবা, গোয়েন্দা ব্যুরোর প্রধান অরবিন্দ কুমার,
র-প্রধান সামন্ত গোয়েল – দের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জরুরী বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
সমস্ত অফিসারকে সতর্ক করে নির্দেশ যায় কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত যে কোন অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে।

সেনাবাহিনী ‘ সীমান্তপারের ‘ সন্ত্রাসকে সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেআগেই সতর্কবার্তা দেয়।

পাকিস্তানের মদতে এই হামলা হতে পারে,বিশেষতঃ অমরনাথ যাত্রীদের লক্ষ্য করে, এরকমই আশঙ্কার মেঘ ছেয়ে যায় জনগনের মধ্যে। ক্রমশঃ স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে
গেছে, দৈনন্দিন কাজকর্ম, দোকানপাট, রোজকার ব্যবসাপাতি ক্রমশঃ স্তব্ধ হয়ে আসছে।

প্রবল থেকে প্রবলতর গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছে , যে ৩৭০ নম্বর
ধারা অথবা ৩৫-ক ধারা তুলে
নেওয়া হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে ত্রস্ত স্থানীয় আঞ্চলিক দলগুলি বৈঠকে বসেছেন ন্যাশনালকনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ-এর বাড়িতে, কারণ মুহবুবা মুফতি
জানান প্রশাসনের নির্দেশে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরস্পর বিরোধী দলের নেতারা এই বৈঠকে যোগ দেন। সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় , কাশ্মীরের স্বাধিকার ও
সাংবিধানিক অধিকারে আগ্রাসন মেনে নেওয়া হবে না। আজ, সোমবার এই যৌথ প্রতিবাদ প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।