কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ১লা এপ্রিল – সারা দেশে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলেছে সমস্ত বিভাগীয় দপ্তরগুলিতে। এই অবস্থায় ৫ হাজার কোচ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে রেলকে। আক্রান্তদের আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে কোচগুলি কাজ করবে। পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলপথকে এই কোচ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এই রেলপথগুলি ও মেট্রো রেলপথ বাড়তি দায়িত্ব পালনে তৎপর হয়েছে। অত্যাবশকীয় পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে নিয়মিত রেল লাইন পরীক্ষা করা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করছে রেল কর্মীরা। এছাড়াও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রেল কর্মীদের। রেলকর্মীদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের সব কর্মীদের জন্য রেল হাসপাতাল এখন খোলা। মেট্রোরেলের চিকিৎসকরা আর পি এফ জোয়ানদেরও স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করছেন। ডাক্তার এস মল্লিককে এই কাজে নিযুক্ত থাকতে দেখা গেছে।
ইতিমধ্যেই ৫টি হাসপাতাল ট্রেন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবস্থাতে ৫ হাজার কোচ প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা মোকাবিলায় কোচগুলি পাঠানো হবে। চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের ১ মাসের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবা নয়,পাশাপাশি চলছে দুঃস্থ মানুষদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবার কাজ। সোমবার পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে দুঃস্থদের খাবার দেওয়া হয়েছে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল, চিফ সিকিউরিটি কমিশনার তথা আর পি এফের আই জি ডিবি কনসার গার্ডেনরিচের চটকল ও বন্দর এলাকায় গরিব মানুষের মধ্যে লুচি ও সব্জি বিতরণ করেন। এছাড়া রেলের প্রতিটি ডিভিশন ও অন্যান্য বড় স্টেশন থেকেও গরিব মানুষদের খাবার বিলি করা হয়।