রাজ্য

হুগলীর ঐতিহ্য শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে চুঁচুড়া পৌরসভা



সুপর্ণা রায়, চিন্তন নিউজ, ৪ জুলাই: হুগলী শহরের শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিষ্ঠা হয় হুগলির শিশু বিজ্ঞান কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কমরেড জ্যোতি বসু। ১৯৯৯ সালে এই কেন্দ্রের ট্রাস্ট গঠন করা হয়। সেই সময় হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ কমরেড রূপচাঁদ পাল নিজের উন্নয়ন তহবিল থেকে ভবন নির্মান ও উন্নয়নের কাজের জন্য অর্থ প্রদান করেন।

যে কেন্দ্র দীর্ঘ দু’দশক ধরে মানুষের জন্য কাজ করেছে তা আজ জঞ্জালে পরিনত হয়েছে। যে কেন্দ্রে একটা সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাথে সাথে চলত কম্পিউটার, লাইব্রেরী, ল্যাবরেটরি, তা আজ অতীত। এখন এখানে চুরি, লুঠ হয় জিনিসপত্র। যে কেন্দ্র এত ভাল ভাল কাজ করত একসময় তা হঠাৎ ২০১৭ সালে একটা লোকদেখানো জমি অধিগ্রহনের নাম করে জবরদখল করে হুগলীর চুঁচুড়া পৌরসভা।

পরে ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে মামলা করা হয় পৌরসভার বিরুদ্ধে। কোর্ট জানিয়েছে এই দখল পুরপুরি বেআইনি। হাইকোর্ট আরও জানিয়েছে যে এই সম্পত্তি এরকম ভাবে জবরদখল করা যাবে না। হাইকোর্টের এই রায়কে অমান্য করে এখানে বেআইনি কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন পৌরপ্রধান। লোকসভা নির্বাচনের সময় এখানে বেআইনি কাজ হচ্ছিল বলে নির্বাচন কমিশন থেকে এখানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখানে সম্পত্তি লুঠ সহ লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সামগ্রী নষ্ট করেছে দুষ্কৃতিরা। এই ট্রাষ্টের কর্মকর্তা ও প্রাক্তন পৌরপ্রধান অসিত চক্রবর্তী বলেছেন যে রায় হাতে পাওয়ার পর বর্তমান পৌরপ্রধানকে লিখিত ভাবে ট্রাস্ট্রের হাতে কেন্দ্রটি তুলে দেবার আবেদন করেন।

প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী যখন তার নেতা মন্ত্রীরা অন্যের দখল করেছে তা এখন ফিরিয়ে দেবার জন্য সেল খুলেছেন তখন তারা ভরসা রাখছেন পুলিশ প্রশাসনের উপর। হাইকোর্ট ট্রাস্ট এর পক্ষে সঠিক বিচার করেছে। এখন এটাই চাওয়া যে ইচ্ছাকৃত এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক আর যারা কাজ হারিয়েছেন তারা যেন তাদের কাজ ফিরে পান। আগে যেমন এই কেন্দ্রে কাজ হত আবার যেন তা চালু করা যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।