রম্যনাথ মাঝি: চিন্তন নিউজ:৭ই মে:- যখন দেখা যাচ্ছে গোটা রাজ্যজুড়ে কোরণা’র করাল গ্রাসে পড়াশুনার বেহাল অবস্থা , সিলেবাস শুরু হ’তে না হ’তেই বন্ধ হয়ে গেছে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ,পরীক্ষা নিয়ে নানান বিভ্রান্তি , এমন সময়
১) লেখাপড়ায় এই সেশনের ফি মকুব করতে হবে।
২) হোস্টেল ফি নেওয়া চলবে না – ফেলোশিপ/স্কলারশিপের টাকা দিতে হবে সমস্ত প্রাপক ছাত্র ও গবেষককে।
৩) ৭৫% ক্লাসরুম ও ২৫% অনলাইন শিক্ষার প্রস্তাব বাতিল করতে হবে।
৪) সবার জন্য অনলাইন শিক্ষার সুযোগ সুনিশ্চিত না করে একে বাধ্যতামূলক করা যাবে না – পরীক্ষা বা মূল্যায়ন অনলাইনে করা যাবে না।
৫) লকডাউনের পর সবার জন্য এক্সট্রা ক্লাসের মাধ্যমে সিলেবাস শেষ না করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
এই ৫দফা দাবী নিয়ে নানা কলেজ , ইউনিভার্সিটি গেটে , নানা জনবহুল জায়গাই সোশাল ডিসটেন্স মেনে প্রতিবাদ করলো এসএফআই—
পুরুলিয়া জেলার জয়পুর কলেজে পোস্টার হাতে প্রতীকি প্রতিবাদ করে , বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি সুব্রত মাহাতো , পুরুলিয়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর মাঝি।
শিলিগুড়ি থেকে মিঠুন ভট্টাচার্য্যের রিপোর্ট-
আজ এস এফ আই ডাবগ্রাম লোকাল কমিটির উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ চরম উঠছে তাই আজ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলো এস এফ আই। ডাবগ্রাম লোকাল কমিটির সম্পাদক গোপাল পাল জানিয়েছেন তাদের দাবিগুলিকে রাজ্যসরকার ও দেশের সরকারের উদ্দেশ্যে। লোকাল কমিটি সম্পাদক গোপাল পাল জানান যে উপরিউক্ত দাবিগুলি সরকার ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বিবেচনা করে দেখবেন বলে তারা আশাবাদী।
এই দাবিগুলি নিয়েই আজ প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হলো
।আজকে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এন জে পি আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে ইউ জি সির গাইড লাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হলো…এই প্রতিবাদ গুলি করা হলো সূর্যসেন কলেজ এবং এন জে পি বাজার সংলগ্ন জায়গা গুলিতে…..জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক শঙ্কর মজুমদার জেলা সভাপতি সাগর শর্মা সহ এস এফ আই নেতৃত্ব সদস্যরা। দার্জিলিং জেলা এসএফআই আরও দাবি করে ,অবিলম্বে চা বাগানের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রাজ্য/কেন্দ্রীয় সরকারকে আর্থিক সাহায্যের প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে।
কলকাতা জুড়ে বিভিন্ন কলেজে একই দাবিতে এসএফআই এই কর্মসূচি পালন করে।