রাজ্য

সিল করা হলো হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:-২৭শে মে :-করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সিল করা হলো হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাড়ীর রাস্তা।। করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রথম থেকেই তথ্য গোপন করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।। চরম অসাবধানতার আশ্রয় নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।। মাস্ক না পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো, সবার সাথে ডিসটেন্স মেইনটেইন না করা, রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চক দিয়ে গোল গোল করে দাগ কাটা একাধিক সাংবাদিক সঙ্গে নিয়ে যা বোঝায় তিনি করোনা সম্পর্কে খুব সচেতন

কিন্তু তাঁর সাংবাদিক বন্ধুরা কোন ডিস্টেন্স মেইনটেইন করেননি সেটা তিনি খেয়াল করেন নি।। শুধু প্রচারের আলোয় থাকতে চেয়েছিলেন।। আজ তার ফল ভুগছেন পুরো রাজ্যবাসী আর তার সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীর রাস্তাও।।। খবরে প্রকাশ ফলতার তৃনমুল বিধায়ক কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন এবং দেখা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত ।। ওই বিধায়ক এর বাড়ী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ীর কয়েকটা বাড়ীর পরে।। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা সংক্রমণ রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে।। জানা গেছে পিটিএস এ কর্মরত ১২ জন পুলিশ কর্মী একসাথে করোনা সংক্রমণ এ আক্রান্ত।।। করোনা সংক্রমণ এ জর্জরিত উত্তর বঙ্গের বানারহাট এর চা বাগানের কর্মী রা।। পূর্ব বর্ধমান জেলার আক্রান্ত এর সঙখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।।এদিকে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এর সঙখ্যা ৪০০০ ছাড়িয়ে গেছে।। রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণের যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতেই দেখা গেছে গত সাত আট দিনের মধ্যে আক্রান্ত এর সংখ্যা তো কমেই নি বরং এই সময়ে সর্বাধিক প্রায় ২০০০ মানুষের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।।আর এই আক্রান্ত রা কলকাতায় বসবাস কারী।। কিন্তু রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রীর বক্তব্য কলকাতা শহরে করোনা ভাইরাস তেমন থাবা বসাতে পারেনি। তাঁর এই আত্মতুষ্টি কলকাতা শহর ও রাজ্যকে এক ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।।

মানুষ এর মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে মমতা ব্যানার্জি সরকার কি করোনা সংক্রমণকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে না? টেলিভিশনে বারবার করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রচার করতে ব্যস্ত প্রশাসন কিন্তু কি করে সংক্রমণ এড়ানো যায় তার কোন সদিচ্ছা দেখায় নি প্রশাসন আর এর ই সুযোগ নিয়ে করোনা হুহু করে বেড়ে গেছে ।। মৃত্যু ও হয়েছে অনেক মানুষের।। এপর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে পুরো রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা আনুমানিক ২৮৩ জনের।।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।