দেশ

কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা রিপোর্ট আড়াল করতে চেয়েও প্রকাশ হয়ে গেল গ্রামীণ ভারতের বিবর্ণ রুপ।


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১৬ই নভেম্বর:–ফাঁস কেন্দ্রীয় সরকার এর সমীক্ষা।_আচ্ছে দিনের প্রচার চালাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রাম বাংলার এক বিবর্ন ছবি প্রকাশ করেনি।। এই রিপোর্ট গত জুন মাসে প্রকাশিত হবার কথা ছিল।। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেয় নি।।

ব্যাপার হলো এই মোদী জামানায় গ্রামের মানুষ ভোগ্যপণ্য ক্রয় বিপুল পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। অবস্থা এমন যে গত চার দশকে এই হারে ভোগ্যপণ্য বিক্রি কমে নি।।তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল এই এক বছরে গ্রামের ক্রেতাদের ক্রয় কমেছে ৮:৮ শতাংশ।।১৯৭২ ১৯৭৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই হারে গ্রাম ভারতে ভোগ্যপণ্য ক্রয় হ্রাস পায়নি।।এই বিষয়ে অনেক বেসরকারি রিপোর্ট ও বেরিয়েছে।। গ্রামের মুদিখানায় ভোগ্যপণ্যে সেই মন্দার তথ্য এবারের সরকারি সমীক্ষা রিপোর্ট এ ধরা পড়েছে।।

লোকসভা ভোটের আগে যাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আসে তার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু রিপোর্টের একটা অংশ বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা তে প্রকাশ হয়ে যায়। সেই রিপোর্টটিতে বিপুল পরিমাণ বেকারি বাড়ছে সেটাও প্রকাশ হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর এত বেশি হারে বেকারি বেড়েছে বলে জানান হয় রিপোর্টে।। রিপোর্টে প্রকাশ ১৩০ কোটি ভারতীয়ের মধ্যে গ্রাম বাংলায় বাস দুই তৃতীয়াংশ যা ভারতের চালিকাশক্তি।। দেখা যাচ্ছে গ্রামবাংলার মানুষ এর মধ্যে খাদ্য, শিক্ষা, পোশাকে খরচের পরিমাণ বিপুল পরিমাণ কমেছে। খাদ্যের মধ্যে মাছ,মাংস,ডাল, ডিম কেনার হার কমেছে।।খাদ্য ক্রয় কমেছে ৯:৮ শতাংশ। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে তথ্যের গুনগত উৎকর্ষতার অভাব থাকায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে নি। রিপোর্ট যাচাইয়ের প্রক্রিয়া আছে।। তাতেই ওই প্রক্রিয়া আটকে গেছে।।

কেন্দ্র চেষ্টা করবে ২০২০-২১ সালে আবার এই সমীক্ষা করানোর।।গত বছর এন এস ও রিপোর্ট জমা দেয় একটা বেকারি সংক্রান্ত আর একটা ভোগ্যপণ্য সংক্রান্ত। রিপোর্ট জমা পড়ার পর তা প্রকাশ না করায় দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইস্তফা দেন।।। দ্বিতীয় দফায় মোদী সরকার গঠনের পর যে মাসে বেকারি সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনে।। তাতে ভারতের বেকারির হাল ধরা পড়ে। ভোগ্যপণ্যের রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার ফলে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় ভারত কি বেহাল অর্থনীতিতে আছে।। এবার কেন্দ্র সরকার নিজেদের রিপোর্ট নিজেরাই গোপন করছে।। গ্রামের প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় অর্থনীতিকে দায়ী করেছেন গবেষকরা। দেশের কৃষি সঙ্কট লাগাম ছাড়া ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।।এর প্রভাব গ্রাম বাংলায় পড়ছে।।। পন্য পরিষেবার ফলে যা আয় হয় কেন্দ্রের সেটা বিপুল পরিমাণ কমেছে।। মোদী সরকারের আমলে সবদিক থেকে মানুষ এর জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে।।_


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।