রাজ্য

গঙ্গার ধার ধরে গজিয়ে উঠছে ম্যানগ্রোভ- চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।


কল্পনা গুপ্ত – চিন্তন নিউজ:১৬ই নভেম্বর:- আমাদের রাজ্যের দক্ষিণে সুন্দরবন অঞ্চল ম্যানগ্রোভ অরণ্যের আবাসস্থল। এই অরণ্য এবার রাজ্যবাসী বিশেষতঃ দক্ষিণবংগের বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের হাত থেকে রক্ষা করে করেছে। তাই তার জনপ্রিয়তাও আজ তুঙ্গে। কিন্ত এই ভালোবাসার অরণ্যটি মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করছে তার বিস্তৃতি নিয়ে।

হাওড়ার শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে ধীরে ধীরে গজিয়ে উঠছে ম্যানগ্রোভ। এশিয়ার সবচেয়ে বড়ো এই গার্ডেনে গংগার পাড় বরাবর উঁকি দিচ্ছে হারগোজা, গর্জন, হেতালের মতো ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসমূল। অতীতে হুগলি, ব্যান্ডেলের মত অঞ্চলের সন্নিকটে ছিলো সমুদ্রের অবস্থান। সেখানকার ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হোগলার আধিক্য থেকেই বিদেশিদের উচ্চারণ বিকৃতিতে স্থানটির নাম হয় হুগলি। অত‌এব সেই নোনামাটির অস্তিত্ব তখন ছিলো প্রত্যক্ষ। কিন্তু বহুকালের সঞ্চিত পলিমাটির স্বাদু স্বাদে সেই উদ্ভিদ এখন অপসৃত। হঠাৎ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের এই বিস্তৃতি বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলেছে।

বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে বেলুড় পর্যন্ত গঙ্গার পাড় ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেড়ে উঠছে এমন গাছ। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী বসন্ত সিংহ জানান- বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছ। সেই নোনাজল ক্রমশ ঢুকে পড়ছে সমুদ্র থেকে ১২০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে থাকা কলকাতা ও হাওড়া শহর সংলগ্ন গংগায়।
কলকাতা ও হাওড়ার মত দুটো বড়ো শহরের অধিকাংশ মানুষই পানীয় জল হিসাবে গংগার জলই ব্যবহার করেন। সেই জলে নুনের পরিমাণ বেড়ে গেলে বড়ো অঘটনের আশংকা থেকেই যায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।