চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৪শে অক্টোবর:–নামমাত্র মূল্যে জমি হাতানোর সরকারি প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে আন্দোলনের পথে কৃষকরা।।সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠী কে তাড়ানোর জন্যে যে আন্দোলন তৎকালীন তৃনমূল নেত্রী করেছিলেন তা যে সম্পূর্ণভাবেই কুম্ভীরাশ্রু ছিল তা এখন দেশ তথা এরাজ্যের মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝছেন, বুঝছে এরাজ্যের কৃষকরাও।
সেই সময় জমির বিনিময়ে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার করেছিল তৎকালীন বাম সরকার ও টাটা গোষ্ঠী।কিন্তু সেসময় ভূল বুঝিয়ে ক্ষমতার লক্ষ্যে তৃনমূল নেত্রী কৃষকদের বিপথে চালিত করেছিলেন।হাজার হাজার চাকরীপ্রার্থী বেকার যুবক যুবতীদের আশায় জল ঢেলে টাটাকে এ রাজ্য থেকে ফিরে যেতে বাধ্য করে তৃনমূল নেত্রী।এই ঘটনা এখন ইতিহাস…..পশ্চিমবঙ্গের বেকারদের স্বপ্নভঙ্গের ইতিহাস।
বর্তমানে আদানী গোষ্ঠিকে খুশী করা বা পাইয়ে দেবার লক্ষ্যে গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।তাকে একাজে সহযোগিতা করছে তৃনমূল সরকার।গ্যাসের পাইপলাইন বসানোর জন্যে নামমাত্র মূল্যে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে বঞ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এর প্রতিবাদে ক্ষোভ ছড়িয়েছে গলসী,বর্ধমান সদর এবং মেমারির কৃষকদের মধ্যে। কৃষকদের মতে জমির বর্তমান দামের মাত্র ১০% ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে সরকার। শাসকদল ও পঞ্চায়েতকে ব্যাবহার করে কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই জমি অধিগ্রহনের নোটিশ দিয়েছে জেলাশাসক ও বিশেষ ভূমি অধিগ্রহণ আধিকারিক।গেইল ইন্ডিয়া লিমিটেডের উদ্যোগে এই পাইপলাইন বসানোর কাজ চলবে।পাইপলাইন বসবে জগদীসপুর হলদিয়া থেকে বোকারোর ধামরা পর্যন্ত।
এই মর্মে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্যে সভা ডাকেন জমি অধিগ্রহণের আধিকারিকরা।কিন্তু কৃষকরা এই সভা বয়কট করে জানিয়ে দেয় অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণের পরিমাণ স্থির না হলে তারা আলোচনায় বসবেনা।কারন জমি অধিগ্রহনের যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তাতে কৃষকরা ভবিষ্যতে ঐ জমি কোনোদিন বিক্রি করতে পারবেনা।কৃষকরা দাবি করেছেন জমির যে দাগ দিয়ে পাইপলাইন যাবে সেই দাগের সমস্ত জমিই সরকার কে অধিগ্রহণ করে কৃষকের সম্মতি নিয়ে উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে। নাহলে এক কোদাল মাটিও তারা কাটতে দেবেনা।
এই অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ১৯৬২ সালের ধারা৬(১) অনুযায়ী।আগুন ধিকি ধিকি জ্বলছে।জোট বাঁধছেন কৃষকরা।শুরু হবে জোরদার আন্দোলন।জমি হাসিলের অপচেষ্টা রুখতে তারা তৎপর।