দেশ

এ যুগের ‘রানার’ – ডি শিবন


রত্না দাস: চিন্তন নিউজ:১০ই জুলাই:- প্রতিদিন চিঠি পৌঁছে দিতে পাড়ি দিতেন ১৫ কিলোমিটার পথ ::–ঘন জঙ্গল, বন্ধুর পাহাড়ি রাস্তায় গত ৩০ বছর ধরে প্রায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটেছেন তিনি। কখনও বিষাক্ত সাপখোপ/পোকামাকড় আর হিংস্র জানোয়ারের হামলার আশঙ্কা আরও নানা রকম বিপদের ঝুঁকি ছিল প্রতিমুহূর্তে। সেইসব ভয়কে উপেক্ষা করে গত তিন দশক ধরে প্রতিদিন ১৫কিলোমিটার চড়াই – উতরাই পথ পেরিয়ে তামিলনাড়ুর দুর্গম এলাকা ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন চিঠিপত্র। তিনি হলেন ডি শিবন।

অবশেষে সেই রানার অবসর নেন গত সপ্তাহে। তার এই জীবনীশক্তি শক্তিকে কুর্ণিশ জানায় সকলে।গত বুধবার আইএস অফিসার সুপ্রিয়া সাহু বলেন, ‘কুনূরের প্রত্যন্ত জায়গাগুলিতে চিঠি পৌঁছে দিতে প্রতিদিন ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ১৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়েছেন শিবন।গত সপ্তাহে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত ৩০ বছর ধরে নিজের দায়িত্ব সম্পূর্ণ নিষ্ঠা সহকারে পালন করেছেন তিনি।’

ভারতীয় ডাক পরিষেবা বিভাগের ওই কর্মী নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো কখনো নানা রকম বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। কখনো বুনো শুয়োরের মুখে পড়েছেন তো কখনো হাতির তাড়া খেয়েছেন কখনো বা সাপের সামনে পড়েছেন কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। ভয়কে জয় করে তিনি তার কর্তব্যে অবিচল ছিলেন।

ঠিক যেন রানার কবিতাটির সেই দুটি লাইনের মতো, ‘রাত নির্জন,পথে কত ভয় তবুও রানার ছোটে, দস্যুর ভয় তারো চেয়ে ভয় কখন সূর্য ওঠে।’তবে রানার যে থামে না সে কথা কবি লিখে গিয়েছেন।মিঃ ডি শিবন তা প্রমান করে দেখালেন। ‘জীবনের সব রাত্রিকে যারা কিনেছে অল্প দামে ‘ সেই সব রানারদের এক প্রতিনিধিকে সম্মান জানানোর দাবি ওঠে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।