চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২২শে আগস্ট:–প্রতিরক্ষা ধর্মঘট সফল রাজ্যেও,পুলিশ লাগিয়ে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টায় তৃনমূল।।
২০শে আগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রতিরক্ষা শিল্পের সফল ধর্মঘট দেখলো এরাজ্য তথা দেশের মানুষ।গোটা দেশে স্তব্ধ প্রতিরক্ষা উৎপাদন।সরকারের এসমার হুমকিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধর্মঘটের প্রথম দিনেই স্তব্ধ হয়ে গেল দেশের ৪১ টি প্রতিরক্ষা শিল্পাঞ্চল।
এরাজ্যের ৪টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি সহ সারা দেশের ৪১টি অর্ডন্যান্স শিল্পাঞ্চলকে বেসরকারি করনের বিরুদ্ধে ডাকা ধর্মঘটে স্তব্ধ করে সারা দেশ দেখলো শ্রমিকদের এক বেনজির ঐক্য।
ধর্মঘটের প্রথম দিনেই চাপে পড়ে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির তিন টি ট্রেডইউনিয়ন এআইডিইএফ ‘,’আইএনডিডব্লিউএফ’এবং’বিপিএমস’র সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা সচিব।যদিও তাঁরা এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে প্রতিরক্ষা শিল্প বেসরকারি করনের থেকে তারা পিছু হটছেন না।এছাড়াও তারা বিভিন্ন বেসরকারি শিল্পোদ্যোগীকে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হবার আহ্বান জানান।
সরকারের এই পিছু হটার পদক্ষেপে আরও উৎসাহী ও এককাট্টা শ্রমিক ইউনিয়নের গুলি।কিন্তু ব্যাতিক্রমি পদ়ক্ষেপ নিয়েছে এ রাজ্যের তৃনমূল সরকারের আইএনটিইউ সি নামক ইউনিয়ন।অন্যন্য ইউনিয়ন গুলি পিকেটিং এ সামিল হলেও তৃনমূলের ইউনিয়নটি বুঝিয়ে দিল তারা মোদির দালাল।তারা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্মঘট ভাঙতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।মঙ্গলবার সকালে ই অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির সদর দফতর কলকাতার আয়ুধ ভবনে পুলিশ নিয়ে ধর্মঘটিদের ধাক্কাধাক্কি করে পিকেটিং রত কর্মী দের সরিয়ে নিজেদের লোকজন কে ঢুকিয়ে দেয়।একই ভাবে কাশীপুর গান শেল ফ্যাক্টরির ধর্মঘটও পুলিশ দিয়ে ভাঙার চেষ্টা চলে।এভাবেই নিজেদের ইউনিয়নের সদস্য ছাড়াও গ্রুপএ ও বি সদস্য দের কারখানা য় ঢোকানো হয়।যদিও এতদ সত্বেও সারাদেশে সেদিন হাজিরা র সংখ্যা ছিল মাত্র ১০,৪%।
ধর্মঘট ভাঙতে এদিন ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতেও হাজির ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী।সকাল থেকেই শ্রমিক কর্মচারীদের স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলিত হতে থাকে ইছাপুরের রাজপথ।আন্দোলন কারিদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা ও হুমকি দিতে থাকে পুলিশ।
বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপে বোঝা যাচ্ছে দেশের স্বার্থ নয় ,কর্পোরেট স্বার্থ পূরন করাই রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্য।
যদিও প্রতিরক্ষা কর্মী রা এককাট্টা যে,যে কোনো মূল্যেই জাতীয় স্বার্থকে তাঁরা রক্ষা করবেন।দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যে কোনো অসম যুদ্ধে ও তারা রাজি।
