গৌতম প্রামানিক: নিজস্ব প্রতিবেদন:-চিন্তন নিউজ:১৫ ই ফেব্রুয়ারি:– দক্ষিণপন্থী শাসক কতোটা অমানবিক হয়! দক্ষিণপন্থা মানবসভ্যতার পরিপন্থী!
আপনারা ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালেই দেখেছেন নৃশংসতার কি রুপ!!
কি কেন্দ্রের, কি রাজ্যের সরকার!! তাদের নৃশংস মানসিকতাই আজ জ্জ্বলন্ত উদাহরণ।
গরীব খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তানরা, অল্প শিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকাররা কার কাছে কর্মসংস্থানের কথা বা দাবি জানাবে?
ছাত্ররা তাদের শিক্ষার খরচ কমানোর জন্য, সাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি নিয়ে, শিক্ষায় করপোরেটিয়করণের বিরুদ্ধে, শিক্ষকদের শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের দাবি নিয়ে ছিল সেদিনের ঐ ঐতিহাসিক ছাত্র যুবদের মিছিল, যা ছিল নিরস্ত্র, সুশৃঙ্খল! পরিকল্পনা করে নির্মমভাবে মার, এই দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের নির্দয় পুলিশ হত্যা করলো তরতাজা যুবক, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী প্রিয় কমরেড মৈদুল ইসলামকে।
আজও পুলিশ ঔদ্ধত্য নিয়ে হাজির হয়েছিল হাতে ঐ খুনে লাঠি নিয়ে। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিগত ১১ বছরের নির্মম অত্যাচার আজ ছাত্র, যুব, কৃষক, শ্রমিক সহ সমগ্ৰ সমাজের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।
জেলায় জেলায় আজ ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতা মন্ত্রীরা চরমতম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য দিয়ে চলেছে। যা কানে শোনাও পাপ লাগে।
জানিনা কেউ এই ক্ষিপ্ত ছাত্র যুব সমাজকে কতোদিন এই হিংস্র সরকারের বিরুদ্ধে আটকে রাখা যাবে। কমরেড মৈদুলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই, ওর ভাইয়ের বুকফাটা কান্না থামাতে কি সান্ত্বনা আছে? ওর বৃদ্ধ মা!? ওর স্ত্রী! কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাবাকে হারালো কমরেড মৈদুলের দুই সন্তান!
এই মুহূর্তে আমাদের একটাই ভাষা—-
কমরেড মৈদুল তোমায় জানাই শতকোটি লাল সেলাম। তোমার আত্মবলিদান আমাদের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবে!